জামশেদপুর - ১ (হার্টলে)
#গোয়া: প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি দুরন্ত ফুটবল খেলার জন্য পরিচিত নয়। ইংলিশ কোচ ওয়েন কয়েলের অধীনে দলটা দেখনদারি নয়, কার্যকারী ফুটবল খেলে। তবুও রবিবার তিলক ময়দানে ইস্টবেঙ্গলের শুরুটা ছিল দেখার মত। বল দখল রেখে কখনো মাঝখান দিয়ে, আবার কখন উইং দিয়ে আক্রমণ তুলে আনছিলেন অঙ্গু, সৌরভ দাস, বিকাশ জাইরু। ১৭ মিনিটে কর্নার থেকে একটা বল ভেসে এলে পেরোসেভিচ বা পায়ে নামিয়ে দিলেন। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রানজো পারচে নিজের গোলের দিকে মুখ করে ভলি নিলেন। বলটা ভালসকিজের গায়ে লেগে ঢুকে গেল জালে।আত্মঘাতী গোল দেওয়া হল না।
advertisement
পেরোসেভিচ নিজের জাত চেনালেন। ২০১৭ সালে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ভারতে আসার আগে আরব আমিরশাহী এবং হাঙ্গেরিতে খেলে এসেছেন। তিনি বল পেলেই কিছু একটা হবে মনে হচ্ছিল।কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে সমতা ফিরিয়ে আনল জামশেদপুর। কর্নার থেকে ভালসকিজ হেড করে বল নামিয়ে দিলে ডিফেন্ডার পিটার হার্টলের বুকে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঈশান পন্ডিতা এবং কোমল থাটালকে নামিয়ে আক্রমনাত্মক হয় জামশেদপুর।ভালসকিজের একটা দুর্দান্ত শট বাঁচালেন অরিন্দম। ৬০ মিনিটের মাথায় দুটো পরিবর্তন নিল ইস্ট বেঙ্গল। চিমাকে তুলে নিয়ে স্লোভেনিয়ার আমির দেরিসেভিচ এবং জ্যাকিচাঁদকে নামালেন কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ।
জামশেদপুরের রিকি, লেন, এলেক্স লিমারা মিডফিল্ড নিজেদের দখলে বেশি রেখেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। ইস্টবেঙ্গল খেলার ফরমেশনে কিছুটা বদল আনল। ভালসকিজকে তুলে নিয়ে জর্ডান মারেকে নামাল জামশেদপুর।বাকি সময়টা দুটো দল চেষ্টা করল বটে। কিন্তু গোলের দেখা পাওয়া গেল না। জামশেদপুর তুলনায় বেশি আক্রমণ করেছে। ইস্টবেঙ্গলকে দেখে মনে হয়েছে প্রথম ম্যাচে ঝুঁকি নিয়ে ৩ পয়েন্ট হারানোর থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।
এর মধ্যেই জ্যাকিচাঁদ একটা দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন। অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচ দেখে কিছু বলা না গেলেও, চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে থাকতে গেলে এই ইস্টবেঙ্গলকে অনেকটা উন্নতি করতে হবে তাতে সন্দেহ নেই।বিশেষ করে মাঝমাঠে ইস্টবেঙ্গল খেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ডার্বির আগে এই জায়গা মেরামত করতে হবে স্প্যানিশ কোচকে।