প্রতিভার অভাব কখনই ছিল না পর্তুগালে। কিন্তু দল হিসেবে ধারাবাহিকতা নিয়ে এসেছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রিধারী এই কোচ। বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর মুখ খুলেছেন অভিজ্ঞ ম্যানেজার। পরিষ্কার জানিয়েছেন যা দেওয়ার ছিল, ফুটবলাররা মাঠে সবটুকুই উজাড় করে দিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিন্তু এটাই ফুটবল। বিপক্ষ দল স্রেফ ছটি শট নিয়েছে (গোলে), একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটিতেই গোল করেছে। আমরা ২৪ শট (২৩) নিয়েছি, পোস্টে লাগিয়েছি।
advertisement
পর্তুগাল কোচ অবশ্য ভাগ্যকে দায় দিচ্ছেন না। তবে বলছেন, জয়টা তাদেরই প্রাপ্য ছিল। “ ফুটবলে ন্যায়বিচার আর অবিচার বলে কিছু নেই। স্রেফ কেউ গোল করে, কেউ পারে না। আমরা গোল হজম করেছি, গোল করতে পারিনি। পর্তুগিজদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে সব চেষ্টাই করেছে আমার ফুটবলাররা। আমরা জিততে পারিনি, তবে জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
প্রায় ৭ বছর ধরে পর্তুগালের দায়িত্বে থাকা কোচের বিশ্বাস, এই ম্যাচ জিতলে শিরোপাও জিততে পারত তার দল। “ আমরা সবাই এটা চাইছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিল, নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা ছিল। আমরা জানতাম, এই ম্যাচ জিতলে, আরও জিতব। আমরা নিশ্চিত ছিলাম, ফাইনালে পৌঁছাতে পারব ও জিততে পারব।”
কিন্তু ফুটবল যেমন দেয়, তেমন কেড়েও নেয়। কথায় বলে সব পেলে ব্যর্থ জীবন। ফুটবলের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রাসঙ্গিক। ড্রেসিংরুমে চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ পেপে থেকে তরুণ জোয়াও ফেলিক্স, দিয়েগো দালোটরা। যোগ্য দল সবসময় জেতে না খেলায়। অতীতে বহুবার এমন নজির রয়েছে। এটাই আপাতত সান্তনা পর্তুগীজদের।