লাল-হলুদের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে সই করে উচ্ছ্বসিত মজিদের দেশের ওমিদ। ইরানে তরুণ উইঙ্গারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলছিলেন,"ভারতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা দেখে অনেকদিন ধরেই খেলার ইচ্ছে ছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলা তো রীতিমত স্বপ্ন। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার যোগাযোগ করার পর তাই আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।" ভারতের মতো করেই ইরানেও করোনার প্রকোপ আটকাতে লকডাউন চলছে। ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের বেবাহান শহরে ঘরবন্দী রয়েছেন ওমিদ। কিন্তু নিজের ফিটনেস বজায় রাখতে নিয়মিতভাবে ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়র মধ্যে রয়েছেন।মজিদ বাসকর-কে চেনেন? প্রশ্নের আগেই যেন উত্তর তৈরি। বলছিলেন,"মজিদ ভাইয়ের কথা অনেক শুনেছি। উনি খুরামশারে থাকেন। আমি থাকি বেবাহানে।
advertisement
ইরানে এখন লক-ডাউন পরিস্থিতি চলছে। কলকাতা আসার আগে একবার মজিদ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে আছে।" ২৯ বছর বয়স হলে কী হবে! আদতে লেফট উইঙ্গার ওমিদ ইতিমধ্যেই নাসাজি, পারস্ জোনেইবির মত ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়ে ফেলেছেন। ২০১৩ থেকে পেশাদার ক্লাব ফুটবলে রয়েছেন। ভারতের খেলার ইচ্ছায় ওমিদ এই দেশের একাধিক ক্লাবের পাশাপাশি আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই সূত্রেই ওমিদের খেলার ভিডিও পৌঁছয় জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচের হাতে। ইগর তাকে ভারতে খেলার পরামর্শ দেন। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব পাওয়ার পর তাই আর দ্বিতীয়বার ভাবেন নি ওমিদ। সই করে দেন দু'বছরের চুক্তিপত্রে।
PARADIP GHOSH
