#কলকাতা: অবশেষে এল সেই জয়। বহু প্রতীক্ষার জয়। স্কোরলাইন মোহনবাগান ৪, ট্রাউ এফসি ০। তবে ব্যবধানটা বেড়ে ৬-০ হলেও বলার কিছু ছিল না। মণিপুরের এই ক্লাবটাই এবারের আই লিগের দুর্বলতম দল।
ডগলাসের দলের না আছে নখ, না আছে দাঁত। কামড়ানো বা খিমচানো কোনওটারই ক্ষমতা নেই দলটার। ডেথলাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কিবুর বাগান সেই সুযোগটাই কাজে লাগাল পুরো মাত্রায়। কল্যাণী স্টেডিয়ামে এক থেকে একশো সবটাই বেইতিয়া, গলজালেজ, নাওরেমদের দখলে। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ডানা ঝাপটালেন গুরজিন্দর, আশুতোষরাও। উইং-প্লে থেকে মাঝমাঠ। সবেতেই এদিন বাগানের দাদাগিরি। আর তাতেই আই লিগে প্রথমবার জয়ের মুখ দেখলেন কিবু ভিকুনা।
advertisement
ম্যাচের শুরুতেই গঞ্জালেজের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ট্রাউ এফসিরও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই শুরু। বাগান আপফ্রন্টের ঘনঘন হানায় মণিপুরের ক্লাবের তখন ফালাফালা অবস্থা। সময় সময় তো নিজেদের মধ্যে টানা সাত-আটটা পাস পর্যন্ত খেলছিলেন বেইতিয়ারা। এরইমধ্যে ৩৮ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল ভিপি সুহেরের। বিরতির আগেই স্কোরলাইন বাড়ান সেই গঞ্জালেজ। ৩-০ এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই আলগা দেন কলিনাস, জেসুরাজরা। ম্যাচের শেষ মিনিটে বাগানের হয়ে চতুর্থ গোল পরিবর্ত হিসেবে নামা শুভ ঘোষের।
এদিকে বাগানের জয়ের দিনেই উদ্বেগ লাল-হলুদে। ইস্টবেঙ্গল-পঞ্জাব ম্যাচ শেষে বলবয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের কারণে বড় ম্যাচে অনিশ্চিত লাল-হলুদের নিউক্লিয়াস হাইমে কোলাডো। স্প্যানিশ তারকাকে অন্তর্বতী নির্বাসনে পাঠিয়েছে ফেডারেশন। ফলে ট্রাউ ম্যাচে নেই কোলাডো। ২০ ডিসেম্বর ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে স্প্যানিয়ার্ডকে। সন্তোষজনক উত্তর না মিললে বাড়তে পারে নির্বাসনের মেয়াদ। সেক্ষেত্রে বড় ম্যাচেও নিউক্লিয়াস ছাড়াই নামতে হবে আলেজান্দ্রোকে।