আগামী ২০ অগাস্ট কিংবদন্তি গোষ্ঠ পালের জন্মদিবস থেকেই অনলাইনে ১৯১১-র শিল্ড জয়ী মোহনবাগান দলের জার্সির রেপ্লিকা সংগ্রহ করতে পারবেন সবুজ-মেরুন সর্মথকরা। ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ের ১১০ বছর পর বাগান কর্তাদের এই উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ময়দান।
মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বলছিলেন, "শুরুর দিন থেকে আমাদের ক্লাবের জার্সি বদলেছে বহুবার। কিন্তু আইকনিক হয়ে থাকুক শিবদাস ভাদুড়ি, অভিলাষ ঘোষদের সেই ঐতিহাসিক জার্সি। এগারোর মহানায়কদের শ্রদ্ধা জানাতেই ক্লাবের এই সিদ্ধান্ত।"
advertisement
কোভিড পরিস্থিতিতে মোহনবাগান দিবস উদযাপনে এটাই যেন সব থেকে বড় প্রাপ্তি ছিল সবুজ মেরুন সমর্থকদের জন্য। কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবার মোহনবাগান দিবসে ক্লাবের ভেতরে প্রবেশাধিকার ছিল না সদস্য সমর্থকদের।
কিন্তু মোহনবাগান দিবস যে বাগান সমর্থকদের কাছে আবেগের, ভালোবাসার। তাই বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ভরা বৃষ্টিতেও দিনভর ক্লাব তাঁবুর সামনে ভিড় লেগে ছিল সদস্য সমর্থকদের। ক্লাবে ঢুকতে না পারলে কি হবে! সবুজ মেরুনের টানেই যে দূর দূর থেকে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের সামনে চলে এসেছিলেন সুন্দরবন, হিঙ্গলগঞ্জ এমন কী উত্তরবঙ্গের বাগানীরা।
ভার্চুয়াল মোহনবাগান দিবসে শুধু এইটুকু বাদ দিলে বাকিটা একই রকম ছিল! প্রতি বছরের মতোই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব সেজে উঠেছিল সবুজ মেরুনে। সাত সকালেই ক্লাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিব সৃঞ্জয় বোস, অর্থসচিব দেবাশীষ দত্ত সহ সিদ্ধার্থ রায়, সঞ্জয় ঘোষ, সন্দীপন বন্দোপাধ্যায়, সত্যজিত চট্টোপাধ্যায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বাগানের শীর্ষ কর্তারা।
মরণোত্তর মোহনবাগান রত্ন সম্মান নিতে উপস্থিত ছিলেন স্বর্গীয় শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার। শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পেলে ম্যাচে কী ভাবে ফুটবল সম্রাটের পা থেকে বল তুলে নিয়েছিলেন অকুতোভয় বাগান গোলরক্ষক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করেন!
PARADIP GHOSH