সৃষ্টিশীল এই মিডফিল্ডার প্রতি–আক্রমণনির্ভর ফুটবলে দারুণ এক অস্ত্র ছিলেন মরিনিওর, তাঁর পাসে অনেক গোল পেয়েছেন রোনালদো। সেই ওজিলই পেরেজের আক্রমণের শিকার। অবশ্য যেখানে রিয়ালের কিংবদন্তিরাই পেরেজের কটু বাক্যের হাত থেকে বাঁচেননি, সেখানে তিন বছর খেলা ওজিলকে নিয়ে তো কটু কথা বলতেই পারেন পেরেজ। তবে ২০১২ সালের ফাঁস হওয়া এই অডিওতে একটু ভিন্নতা আছে।
advertisement
এর আগে সব ফুটবলার ড্রেসিংরুমে কেমন আচরণ করেন কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কে কেমন, সে কথাই বলেছেন পেরেজ। কিন্তু ওজিলের ক্ষেত্রে কোনো সীমারেখায় নিজেকে আটকে রাখেননি। পেরেজকে বলতে শোনা গেছে, ‘২১ বছর বয়সে যখন ওজিল এল, ওর সঙ্গে একজন বান্ধবী ছিল। কিন্তু মাদ্রিদের জীবনযাত্রার মজার দিকটা ও খুব দ্রুত বুঝে গেল এবং জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে ফেলল। সে তার বান্ধবীকে বিদায় বলে দিল, ইতালির এক মডেলকে জুটিয়ে নিল। তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত বিমানে মজা করতে বের হত কদিন পরপরই।’
প্রশ্নবিদ্ধ এই আলোচনা এখানেও থামেনি। সাংবাদিক হোসে আন্তোনিও আবেয়ানকে কাছের মানুষ ভেবে সব আগল খুলে দিয়েছিলেন পেরেজ, ‘ওজিল মিলানের এক ইতালিয়ান মডেলের প্রেমে পড়ল। কোচ মরিনহ (২০১০ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে ইন্টার মিলানে ছিলেন এই কোচ) তখন ওজিলকে ডেকে বললেন, “তোমার এই বান্ধবী তো এসি মিলানের সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিছানায় সময় কাটিয়েছে, ইন্টার মিলানের সবার সঙ্গেও। এমনকি দলগুলোর কোচিং স্টাফও বাদ যায়নি।” আমার মনে হয়, এ কথার পর এই বান্ধবীকেও ত্যাগ করেছে ওজিল।’
যেটুকু জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম ইয়াদা এসপিকা। জন্মসূত্রে ভেনিজুয়েলার নাগরিক হলেও পরে ইতালিতে দীর্ঘদিন থাকার পর সে দেশের নাগরিকত্ব পায়। পেশায় টিভি উপস্থাপক এবং মডেল ছিলেন তিনি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে আসার আগে মরিনহো ইন্টার মিলানের কোচ থাকাকালীন এই মহিলা সম্পর্কে আগে থেকেই সব জানতেন। তাই আখেরে ওজিলকে বাঁচিয়েছিলেন মৌ মনে করেন পেরেজ।