কিন্তু চাইলেই কি আর হয়? রোনাল্ডো যতই অনন্য হোন না কেন, বয়সের একটা প্রভাব মানুষের ওপর কখনো না কখনো পড়েই। এটা বেশ ভাল করেই বোঝেন ইউনাইটেডের ম্যানেজার ওলে গুনার সুলশার। তিনি জানেন এককালে তাঁর ক্লাব-সতীর্থ নিজেকে প্রমাণ করার তাড়নাটা কতটা। কিন্তু তার পরেও রোনাল্ডো যেন অতিরিক্ত ম্যাচ খেলতে গিয়ে বড় কোনো চোটে না পড়েন, সেটিও নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাঁর। এ জন্যই সুলশারের ইঙ্গিত, পর্তুগিজ তারকাকে হয়তো সব ম্যাচে না-ও খেলানো হতে পারে।
advertisement
যে কারণে হয়তো চ্যাম্পিয়নস লিগের এই সপ্তাহের ম্যাচে ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে না-ও দেখা যেতে পারে রোনাল্ডোকে। ‘হ্যাঁ, মঙ্গলবারে আমাদের একটা ম্যাচ আছে ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে। দেখি কী করা যায়। তবে হ্যাঁ, ওঁকে বসিয়ে রাখা অস্বাভাবিক কিছু না। ওর বয়স এখন ৩৬, গ্রিনউডের ১৯। দুজনের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এক।গ্রিনউডকেও যেমন বুঝেশুনে খেলাতে হবে, একজন ৩৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়কেও বুঝেশুনে খেলাতে হবে। দলের মধ্যে যত বেশি মানসম্মত খেলোয়াড় আসবে, তত বেশি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের সৃষ্টি হবে '- পরিষ্কার জানিয়েছেন ম্যান ইউ কোচ।
আরও পড়ুন - Tim Paine Ashes : ঘাড়ের অস্ত্রোপচার করে অ্যাশেজে নামবেন টিম পেইন
রোনাল্ডো নিজে অবশ্য পুরোপুরি তৈরি। তিনি সাধারণত চোট না পেলে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে চান। কিন্তু বয়স বাড়ার জন্য তাঁকে বুঝে শুনে ব্যবহার করতে চান কোচ। সবচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি ফিরে আসার পর ইউনাইটেড লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে। এটা সমর্থকদের দিক থেকে বড় ব্যাপার। তাঁরা মনে করছেন তাঁদের লাকি মাসকট ফিরে এসেছে। তিনি নিজেও জানেন বুঝে বুঝে ম্যাচ খেলতে পারলে, ম্যান ইউ - তে ফিরে দীর্ঘ সময় খেলা সম্ভব হবে।