প্রথম ম্যাচে তার ফ্রিকিক এখনও ভক্তদের চোখে লেগে আছে। তার চারটের মধ্যে দুটো গোল এসেছে ফ্রিকিক থেকে। গোলকিপার যেন নিজের মনকে প্রস্তুত করে নেয় গোল খাওয়ার জন্যই, যখন লিওনেল মেসি উঠে আসেন ফ্রিকিক নিতে। এইবার কোপাতে ইতিমধ্যে তিন তিনটি রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি। হাভিয়ের ম্যাস্কেরানোকে টপকে তিনি সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের জার্সিতে। বুধবার কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে এটি তার অর্ধশততম ম্যাচ ছিল।
advertisement
মাসচেরানোর সেখানে ১৪৭ টি ম্যাচ ছিল জাতীয় দলের হয়ে। প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে তিনি এই নিয়ে ৬ নম্বর কোপা খেলছেন, ২০০৭ থেকে ২০২১ অবধি এটি তার ষষ্ঠ কোপা আমেরিকা। এখানেও তিনি আর্জেন্টিনার প্রাক্তন অধিনায়ক হাভিয়ের মাসচেরানোর ৫ টি কোপার রেকর্ড ভেঙেছেন। পাঁচ পাঁচটি আসিস্ট তার পা থেকে এসেছে, একটি কোপা আমেরিকাতে এতগুলি অ্যাসিস্ট এর আগে কোনো প্লেয়ার করেনি।
শুধু এই তিনটিই নয়, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচেও লিওনেল মেসির একাধিক সুযোগ আছে রেকর্ড তৈরি করার। চিলির ফুটবলার সর্জিও লিভিংস্টনের ৩৪ টি কোপা ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন তিনি ফাইনাল ম্যাচে। কোপা শুরু করার আগে লিও মেসির ২৭ ম্যাচ ছিল। তবে একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে মেসির কোপা আমেরিকার সব থেকে বেশি সংখ্যক গোল করার রেকর্ড ভাঙার।
৬ টি কোপা মিলে মেসির গোল ১৩টি যেখানে ব্রাজিলের জিজিনহোর কোপা আমেরিকায় মোট ১৭ গোল। অর্থাৎ এটা যদি মেসির শেষ কোপা টুর্নামেন্ট হয় তাহলে রেকর্ডটি স্পর্শ করার জন্য মেসিকে ফাইনালে ৪ গোল করতে হবে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। কিন্তু ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু হয় না।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক গোড়ালিতে রক্তক্ষরণ নিয়ে খেলেছিলেন আগের ম্যাচে। জাতীয় দলের হয়ে তার দায়বদ্ধতা কিছু কম নয় বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের রেকর্ড নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। আসল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ব্রাজিলের যে মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল সাত বছর আগে, রবিবার সেই মাঠেই নিজের জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফির লক্ষ্যে নামবেন মেসি।