জার্মানির সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার জুরগেন ক্লিন্সম্যানের ধারণা, ‘এবার ইউরোয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় দাবিদার হ্যারি কেনরা। ফুটবলের আসরে গোলের সুযোগ সদ্ব্যবহার করাই আসল কথা। এখানেই জার্মানিকে টেক্কা দিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ পকেটে পুরে নেয়।’ ব্রিটিশ মিডিয়া দেশীয় ফুটবলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশ্ব ফুটবলে মর্যাদার লড়াইয়ে জেতার পর জার্মানদের বিদ্রুপ করতেও তারা ছাড়েনি।
advertisement
ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ইংলিশ ফুটবলে মিথ হয়েই থাকবে। এখানেই জার্মানিকে হারিয়ে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ববি মুররা। মঙ্গলবার আবার সেই একই মাঠে জার্মানদের ‘প্রাচীর’ ভেঙে দিলেন রহিম স্টার্লিংরা। শিরোনামে উঠে এসেছেন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। এবার ইউরোয় মঙ্গলবারই প্রথম গোলের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ইংলিশ ক্যাপ্টেন বলেন, ‘জার্মানির বিরুদ্ধে গোলের মুহূর্ত কোনওদিন ভোলা যাবে না। দেশের হয়ে ৩৫টি গোল করলাম। গ্রুপ লিগে লক্ষ্যভেদ করতে না পারায় চাপ অবশ্যই বেড়েছিল। অবশেষে যা থেকে মুক্তি পেলাম।’
গোলের প্রসঙ্গে টটেনহ্যামের ফুটবলারটি বলেন, "নিখুঁত ক্রস রেখেছে জ্যাক গ্রেলিশ। এর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আমি ঠিক সময়ে বলের কাছে পৌঁছে মাথা ছুঁইয়েছি"। রহিম স্টার্লিংয়ের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হ্যারি কেন। তাঁর বিশ্লেষণ, ‘শুরু থেকেই ও দুরন্ত উইং প্লে’র মাধ্যমে জার্মান রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই প্রচেষ্টার সুফলও পেয়েছি আমরা। লুক শ’র ক্রস থেকে স্টার্লিংয়ের গোল ভোলা যাবে না। এই গোলের মুভে আমারও অবদান রয়েছে ভেবে ভালো লাগছে।’
ইংল্যান্ড ম্যানেজার সাউথগেট ২৫ বছর আগে এই জার্মানদের বিরুদ্ধে টাইব্রেকার মিস করে সমালোচিত হয়েছিলেন। সেই যন্ত্রণা এতদিন বয়ে বেড়াতে হয়েছে। এবার দেখলেন তাঁর ব্যর্থতার জবাব সুদে-আসলে মিটিয়ে দিলেন তাঁর ফুটবলাররা। কিন্তু পেশাদার কোচ জানেন আসল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তাই আবেগে ভাসতে নারাজ।