দাতব্যকাজের উদ্দেশ্যে পেলে তাঁর কয়েক দশকের সংগ্রহশালা থেকে ১ হাজার ৬০০টির বেশি সামগ্রী ২০১৬ সালে নিলামে তুলেছিলেন। এই নিলাম থেকে তিনি ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। ২০১৮ সালে পেলে তাঁর নিজের দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ‘পেলে ফাউন্ডেশন’ নামের এই সংস্থা সারা বিশ্বের দরিদ্র ও অধিকারবঞ্চিত শিশুদের ক্ষমতায়নে কাজ করে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন - আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ থামিয়েছিলেন পেলে! সম্রাটকে দেখার জন্য ছিল ২ দিনের যুদ্ধ বিরতি
মানবিক ও পরিবেশগত বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের জন্য ২০১২ সালে পেলেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। পেলে ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে সম্মানজনক নাইট উপাধি পান।
ব্রাজিল ফুটবলে দুর্নীতি রুখতে পেলের উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে একটি আইন পাস হয়। এটিকে অনেকে ‘পেলে আইন’ নামে অভিহিত করেন। পেলের সংস্থার পক্ষ থেকে আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা মহাদেশের বহু বাচ্চার খাওয়া-দাওয়া এবং লেখাপড়ার খরচ চালানো হত। ইউনিসেফ এই কাজটা করত ফুটবল সম্রাটের হয়ে। আগামী দিনেও পেলের ইচ্ছে মেনে এই সমাজ সেবার কাজ চালিয়ে যাবে তারা।