২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবিত অবস্থায় তাঁর হাতে মোহনবাগান রত্ন পুরস্কার তুলে দেওয়া গেল না, সেই আক্ষেপ যেন যাচ্ছে না বাগান কর্তাদের। তবে মোহনবাগান শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান ভুলে যায়নি। মোহনবাগান দিবসে শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ২০২০-২১ মরশুমে ১৪টি গোল করা রয় কৃষ্ণাকে এবারের সেরা ফুটবলার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেরা ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সেরা অ্যাথলিট বাছা হয়েছে বিদিশা কুণ্ডুকে। তবে সমস্ত পুরস্কার বিতরণী হবে ভার্চুয়ালি। করোনার জন্য মোহনবাগান দিবসের সমস্ত আনন্দ, উদ্দীপনা যেন থমকে গিয়েছে দুবছর ধরে।
advertisement
১৯৭৭ সালে কসমসের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে ফুটবল সম্রাট পেলের গোল আটকেছিলেন শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়। ২-২ ম্য়াচে শেষ হয়েছিল মনে রাখার মতো সেই ম্য়াচ। সেই ম্যাচে অন্তত পাঁচটি দুর্দান্ত সেভ দিয়েছিলেন শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্ট ফ্রি-কিক থেকে পেলের গোলের সুযোগ আটকে দিয়েছিলেন। আবার ওয়ান টু ওয়ান সুযোগ পেয়েও শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে টপকে গোল করতে পারেননি পেলে। গোটা গ্যালারি হাততালিতে ভরিয়ে দিয়েছিল শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভারতীয় ফুটবলের সোনায় মোড়ানো সময় সেইসব। এত বছর পর এখনও যেন ফুটবলপ্রেমীদের মনে সেসব স্মৃতি টাটকা। চার বছর আগে প্রয়াত শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজস্র স্মৃতিও যেমন মোহনবাগান সমর্থকদের মনে টাটকা আজও।