মোহনবাগানের ছেলের কাছে এর উত্তেজনা ডার্বির থেকে কম কিছু নয়। অপেক্ষা ছিল অনেকদিনের। স্বভাবতই লকডাউনের নিয়ম কিছুটা শিথিল হওয়ায় সুবিধাই হয়েছে নতুন জামাইয়ের। আর জামাইকে পেয়ে বেজায় খুশি শাশুড়ি রিংকু মন্ডল। নানা প্রকারের ভাজাভুজি, ফল, মিষ্টি, পাবদা মাছ, চিতল, কাতলা মাছের মাথা, পোলাও, ভাত জামাইয়ের জন্য আয়োজন ছিল প্রচুর । তবে অবাক করে, চিংড়ি নয় পাতে ছিল ইলিশ।
advertisement
শিলটন অবশ্য পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর বেশি প্রিয় চিংড়ি। সম্প্রতি চিকিৎসক বারণ করায় তিনি না করে দিয়েছিলেন চিংড়ি করতে। সেই সঙ্গে আশ্বস্ত করে দিয়েছেন সমর্থকদের যে কোনোভাবেই দল বদলের কোনো সম্ভাবনা নেই। স্ত্রী সায়না লাল শাড়ি পরায় পছন্দের হলুদ পাঞ্জাবি ছেড়ে পরেছেন সবুজ পাঞ্জাবি। শাশুড়ির জন্য শাড়ি ও শ্বশুরের জন্য এনেছিলেন শার্ট-প্যান্ট। আর তাঁর জন্যও উপহার হিসেবে ছিল শার্ট প্যান্ট।
শিলটন যে খুব ভালো ছেলে এবং তৃপ্তি করে সব রান্না খেয়েছে সেই সার্টিফিকেট নিউজ ১৮ বাংলাকে দিয়েছেন স্বয়ং শাশুড়ি। যদিও এরমাঝেই মোহনবাগানের প্রহরী জানাতে ভোলেননি লকডাউন মেনে সুস্থ স্বাভাবিক থাকার কথা। করনা সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এমনটাই বার্তা শিলটনের । ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখটি সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন শিলটন সায়না। তাঁদের জীবনের ক্যালেন্ডার ইভেন্টসে শুরু হয়েছিল নতুন এক অধ্যায়ের। প্রথম জামাইষষ্ঠী পালন করে তাই ম্যাচ জেতার তৃপ্তি শিলটনের কথায়।
DEBAPRIYA DUTTA MAJUMDAR