ক্রোয়েশিয়ার বাকি সদস্যরা করোনা নেগেটিভ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠে রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে এক গোল করেছেন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করার পাশাপাশি নিকোলা ভ্লাসিচ আর লুকা মদরিচের গোলে রেখেছেন অবদান। নিঃসন্দেহে এবার ইউরোয় ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড লাইনের বড় শক্তি ইন্টার মিলানের উইঙ্গার ইভান পেরিসিচ। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের আগে এমন বিপদ হয়তো ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি কোচ জ্লাতকো দালিচ !
advertisement
২০১৪ সাল থেকে ফিফা আয়োজিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যে চারজন খেলোয়াড়ের গোল করার কৃতিত্ব আছে, পেরিসিচ তাঁদের মধ্যে একজন। বাকিরা হলেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু ও সুইজারল্যান্ডের জের্দান শাকিরি। বলা বাহুল্য, ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণভাগের অন্যতম অংশ হয়ে পেরিসিচ আছেন বহু বছর ধরেই। ২০১৪ সাল থেকে বড় টুর্নামেন্টে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ৯ গোল করেছেন পেরিসিচ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘খেলোয়াড়দের নিয়মিত কোভিড পরীক্ষার ফলাফল ফেডারেশনের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে ইভান পেরিসিচ কোভিড পজিটিভ হয়েছেন।’ অন্তত ১০ দিন এখন সম্পূর্ণ আলাদা অবস্থায় থাকতে হবে পেরিসিচকে। এর মধ্যে ক্রোয়েশিয়া স্পেনকে হারিয়ে যদি কোয়ার্টারেও ওঠে, পেরিসিচ খেলতে পারবেন না সেই ম্যাচেও। ফলে মোটামুটি বলা যেতে পারে, এ টুর্নামেন্টে পেরিসিচের খেলার সম্ভাবনা আর নেই।
এই অভাব ঢাকা সহজ নয়। তার ওপর শেষ ম্যাচে ৫-০ ব্যবধানে স্লোভাকিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়া স্প্যানিশ আর্মাডাকে পেরিসিচ ছাড়া সামাল দেওয়া সহজ নয়, ভেতরে জানলেও মুখে বলছেন না ক্রোয়েশিয়ান ম্যানেজার। দলের আত্মবিশ্বাস যাতে একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে ছাড়া চিড় না খায় সেদিকে নজর ডালিচের।