এটিকে-মোহনবাগানের পর সাতের আইএসএলে সব থেকে ভারসাম্যে ভরা দল মুম্বাই সিটি। লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলারের দুর্ভাগ্য, একে তো অন্য দল গুলোর তুলনায় অনেক পরে অনুশীলনে নেমেছিলেন। তার ওপর টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই সবথেকে শক্তিশালী দুই দলের মুখে পড়লেন। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচে লাল-হলুদের খেলা দেখে কখনও মনে হয়নি জেতার জন্য নেমেছেন স্কট নেভিল, পিলকিংটনরা।
advertisement
এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাও কিছুটা লড়েছিলেন ফাওলারের ছেলেরা। মঙ্গলবার সের্গিও লোবেরার মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে একেবারে মিইয়ে থাকল লাল-হলুদ ব্রিগেড। মাঘোমা, পিলকিংটনরা অফ ফর্মে থাকায় ম্যাচে নেতিয়ে থাকল গোটা দলটাই।
প্রথম মিনিট থেকেই নড়বড়ে লাল-হলুদ ডিফেন্স যেন খাইবার পাস। দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান, বিস্তর ফারাক। মুম্বাই সিটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল ফাওলারের দলের দুর্বলতাগুলো।
লাল-হলুদের ভারতীয় ব্রিগেডে ইরশাদ, নারায়ণরাও কহতব্য নয়। মুম্বাই সিটির রাওলিন, মন্দাররা সহজেই টপকে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয়দের। সাতের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হয়ে থাকবে জঘন্য ভারতীয় লাইন-আপ। ফন্দ্রের জোড়া গোল বা হার্নান সানতানার গোলে মুম্বাইয়ের ৩-0 জয় তাই মোটেই অঘটন নয়।
PARADIP GHOSH