তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোয়ায় উড়িয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে দলের সপ্তম বিদেশি জন গার্নারকে। বলা যেতে পারে, উইগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রাক্তন এই স্ট্রাইকারের অপেক্ষাতেই এখন দিন গুনছে লাল-হলুদ শিবির। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা ও উইগানের মত প্রথম সারির ক্লাবে খেলা জো গার্নার গোয়ায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেই ফাওলারের দলে ভারসাম্য আসবে। এমনটাই মত ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।
advertisement
জো গার্নারকে গোয়ায় উড়িয়ে আনার উদ্যোগের মধ্যেই নতুন বিপত্তি। গোড়ালির চোট সারার লক্ষণ নেই দলের ষষ্ঠ বিদেশি অ্যারনের। গোড়ালির চোটের কারণে রেজিস্ট্রেশন থাকা সত্বেও এটিকে-মোহনবাগান বিরুদ্ধে লাল-হলুদের বেঞ্চে দেখা যায়নি এই ফুটবলারকে। হাতে থাকা পাঁচ বিদেশিকে নিয়েই মর্যাদার ডার্বিতে খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলার। এটিকে-মোহনবাগান কোচ হাবাসের হাতে যখন এক-একটা পজিশনে একাধিক পছন্দের ফুটবলার রয়েছেন, সেখানে ফাওলারের হাতে অপশন সীমিত।
অ্যারনের চোট নিয়ে তাই আর বেশী সময় অপেক্ষা করতে রাজি নয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) টিম ম্যানেজমেন্ট। অ্যারনের বিষয় তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে কোচ ফাওলারকে। অ্যারনের বিকল্প হিসেবে খোঁজ শুরু হয়েছে বিদেশি বক্স স্ট্রাইকারের। দিন সাতেকের মধ্যে গোড়ালির চোট সারিয়ে অ্যারন ম্যাচ ফিট না হতে পারলে সেক্ষেত্রে মেডিকেল গ্রাউন্ডে অ্যারনের পরিবর্ত বিদেশি সই করানোর ভাবনাও ঘোরা-ফেরা করছে লাল-হলুদে।
আইএসএলের (ISL) অন্যান্য দলগুলোয় বিদেশি বক্স স্ট্রাইকার থাকলেও লাল-হলুদ শিবিরকে এই ক্ষেত্রে ভরসা করতে হচ্ছে ভারতীয় জেজে লালপেখলুয়া ও বলবন্ত সিংয়ের ওপরেই। ফাওলারের এই দলে বিদেশি বক্স স্ট্রাইকারের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে টিম ইস্টবেঙ্গলে যে ভারসাম্য আসবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
PARADIP GHOSH