গোয়া মানেই আক্রমণ। আগের ম্যাচে নর্থ-ইস্টের সঙ্গে ঘরের মাঠে তারা ২-২ ড্র করে। গোল হজম করেও ঘুরে দাঁড়ায়। আর এই গোল হজম করাটাই যে লবেরার ছেলেদের বাজে অভ্যেস। গত মরশুমেও গোয়ার বিরুদ্ধে হয়েছিল ২৮টি গোল। এই দুর্বলতা নিয়ে কি ভাবছেন লবেরা। ' কোচ হিসেবে আমি যথার্থ চেষ্টা করছি ফাঁকফোকর ঢাকার। কিন্তু আমার ফুটবল দর্শন আটকে আছে একই দর্শনে। আমরা গোলের জন্যে ঝাঁপাব।' নিজের দলের কথা বলার পাশাপাশি বিপক্ষ সম্পর্কে লবেরা জানিয়েছেন ' চেন্নাইয়ানের রক্ষন শক্তিশালী। তিন বিদেশি দিয়ে গড়া। নামে বদল এলেও তাদের কাজে খামতি নেই'।
advertisement
পাশাপাশি লবেরার চিন্তার কারণ গোলেরক্ষকের ফর্ম। নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে করা গোলরক্ষকের অনভিজ্ঞ হ্যান্ডবলই যে পিছনে ফেলে দিয়েছিল কোরোদের। এবার হয়তো দলে পরিবর্তন আসতে পারে। উল্টোদিকে ঘরের মাঠ হলেও শনিবারের সন্ধ্যেতেও চেন্নাইন হিসেব করেই এগোতে চায়। আক্রমনাত্মক গোয়ার বিরুদ্ধে তাদের কৌশল হবে প্রতি আক্রমন নির্ভর ফুটবল।
প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর সেই সাবধানতা বাড়বে বইকি কমবে না। এবং সেটা জন গ্রেগরির কথাতেই পরিস্কার। তিনি জানিয়েছেন, ‘' আমি হারের পরেও বড় খুশি।। কারণ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আমরাই ভাল খেলেছিলাম। বল পজেশন থেকে গোলের সুযোগ তৈরি সবেতেই আমরা এগিয়ে ছিলাম। স্রোতের বিপক্ষে গোল হজম করতে হয়েছে। আর আমার ছেলেরা সেই গোলটাই করতে পারেনি।'’
ম্যাচ নিয়ে দু’দলের কোচেদের চিন্তায় রক্ষণ। তবে গোয়ার মন্ত্র আক্রমণ আর আক্রমণ। চেন্নাইয়ানের রক্ষণ ভেঙে পারবে কি জয়ে ফিরতে ? গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা ভাল হয়নি। গ্রেগরিও তৈরি তিন পয়েন্ট পেতে। সব মিলে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের অপেক্ষায় উইকেন্ড।