ফুটবলে আইলস্যান্ডের চমক দেওয়া শুরু শেষবারের ইউরো থেকে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ‘সনস’রা। আর এবারে সোজা রাশিয়ায়। দেশে কোনও পেশাদার ফুটবল লিগ নেই। কোচ হেইমির হালগ্রিমসন পেশায় দাঁতের ডাক্তার। পানশালায় বসে ভক্তদের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করতে ভালবাসেন। চমক দেওয়ার প্রস্তুতি কিন্তু চলছিল তলায় তলায়। এরকমই অনেক চমকের মিশ্রণে তৈরি আইসল্যান্ড দলটা। দেশটার জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৩ লক্ষ। কলকাতার শ্যামবাজার-শোভাবাজারের থেকেও কম। আইসল্যান্ডের বাসিন্দাদের ফুটবল নিয়ে তুমুল আগ্রহ। বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য আইসল্যান্ডের ৬৬ হাজার জন আবেদন করেছেন। আইসল্যান্ডের গ্রুপে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়ার মত দল রয়েছে। বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা তেমন নেই আইসল্যান্ডের।
advertisement
মেগা ম্যাচের আগের দলের মিডফিল্ডার ইয়োহান গুডমুন্ডসনের বক্তব্য, মেসির বিপক্ষে খেলা কঠিন। ইউরো কাপে রোনাল্ডোর মতো মেসিকেও খেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় থাকব আমরা। আক্রমণভাগের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা আর্জেন্টিনা। কিন্তু ওদের রক্ষণ নড়বড়ে। এই সুযোগ আমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
একনজরে আইলস্যান্ড
-এবারে বিশ্বকাপে অভিষেক
-দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষের কম
-দেশে কোনও সেনাবাহিনী নেই
-কোনও পেশাদার ফুটবল লিগ নেই
-প্রতি ৫০০ জনের একজন 'এ' লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোচ
'লিভ ইট আপ' যেন থিম আইসল্যান্ডেরও। আন্ডারডগ হিসেবেই মস্কো অভিযান শুরু করবে আইসল্যান্ড। প্রথম ম্যাচেই আবার সামনে মেসিরা। প্রত্যাশার চাপ একেবারে কম। সেটাই যেন শাপে বর হালগ্রিমসনের ছেলেদের।
Iceland