ইউরোয় নিজেদের প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। ৮৪ মিনিটে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রাফায়েল গুয়েরেইরো গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন। এরপর রোনাল্ডো শেষদিকে করেন জোড়া গোল। পেনাল্টি থেকে করা প্রথম গোলটি দিয়ে ইউরোর মূল পর্বে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন পর্তুগিজ তারকা। তাঁর উদ্যাপনটা ছিল চিরাচরিত ‘সাই’—দৌড়ে কিছুদূর যাবেন, শূন্যে লাফিয়ে শরীরকে মুচড়ে উল্টো করে মাটিতে নামার সঙ্গে হাত দুটো নামিয়ে আনবেন শরীরের পাশে। এই উদ্যাপন বেশ আগে থেকেই রোনাল্ডোর ক্যারিয়ারের অংশ।
advertisement
কিন্তু হাঙ্গেরির বিপক্ষে নিজের প্রথম গোলটির পর রোনাল্ডোর অমন উদ্যাপন মার্কো রসির মোটেও ভাল লাগেনি। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমকে হাঙ্গেরি কোচ বলেছেন, ‘রোনাল্ডো অসাধারণ একজন চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু কিছু সময় সে বিরক্তিকরও হতে পারে। পেনাল্টির পর সে এমনভাবে উদ্যাপন করল যেন ফাইনালে গোল করেছে। লোকে এগুলো খেয়াল করে।’ গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে শেষ ষোলোয় উঠেছে রোনাল্ডোর পর্তুগাল।
ফ্রান্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে এক রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন সিআর সেভেন। ইরানের আলি দাইয়ির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলের মালিক। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে গোল পেলে আন্তর্জাতিক তালিকায় সবার নাগালের বাইরে চলে যাবেন পর্তুগীজ সুপারস্টার। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনাল্ডোর ভক্তরা হাঙ্গেরির ইতালীয় ম্যানেজারকে নিয়ে বিভিন্ন মিম বানিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। হেরে গিয়ে অজুহাত ছাড়া এটা যে কিছুই নয় মনে করেন রোনাল্ডো ভক্তরা। কেউ আবার মন্তব্য করেছেন হিংসে না করে নিজের দলের উন্নতির কথা ভাবুন।