ইংল্যান্ডের নাম্বার নাইন। ছয় ফুটের সুদর্শন স্ট্রাইকার সাড়ে ছয় কোটি ব্রিটেন বাসীর নয়নের মনি। অর্ধশতাব্দী আগে ফুটবল মাঠে যে ইতিহাস তৈরি করেছিল ববি মুর, জিওফ হেরস্টদের ইংল্যান্ড, সেই স্মৃতি আবার ফিরে আসবে কিনা চর্চায় আট থেকে আশি। হ্যারি কেন যেন একটা নাম নয়, একটা আবেগ, একটা সম্ভাবনা, একটা প্রত্যাশার মাপকাঠি। ইউরো কাপ জিতবেন কিনা তা রবিবারেই বোঝা যাবে। তবে তার আগেই বড় সম্মান পেলেন হ্যারি কেন।
advertisement
তাঁর ছোটবেলার স্কুলের নাম রাখা হল ইংরেজ অধিনায়কের নামে। নেটমাধ্যমে ইংল্যান্ড ফুটবল দলকে সমর্থন করার জন্য এমনিতেই জনপ্রিয় হাওয়ার্ড জুনিয়র স্কুল। শুক্রবার একদিনের জন্য ওই স্কুলের নাম বদলে হ্যারি কেন জুনিয়র স্কুল রাখা হল। শুধু তাই নয়, টুইটারে এই নাম বদলের পাশাপাশি নতুন লোগোও দেওয়া হয়েছে। বাচ্চারা স্কুলের দেওয়াল জুড়ে ইংল্যান্ড তারকার নাম লিখেছেন। দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে ছবি। হ্যারি কেনের মুখোশ লাগিয়ে স্কুলে এসেছিলেন ছাত্র এবং শিক্ষকরা।
চার গোল করে এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন হ্যারি কেন। ১৯৬৬-র পর প্রথম কোনও বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। খরা কাটিয়ে দেশকে কাপ জেতাতে মরিয়া এই ফুটবলার। হ্যারি কেন মাঝে মাঝেই এই স্কুলে আসেন। দুস্থ, অনাথ শিশুদের নিয়ে নিজের ফাউন্ডেশন আছে তাঁর। জানিয়েছেন স্কুলের এই সম্মান প্রদর্শনে তিনি অভিভূত। বুঝতে পারছেন না কী বলে ধন্যবাদ দেবেন। রবিবার ফুটবলার জীবনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামতে চলেছেন ইংরেজ অধিনায়ক। তিনি পুরস্কার নয়, মরিয়া হয়ে আছেন ইউরো কাপ ঘরে তোলার জন্য।