স্যান ম্যারিনো - ০
#লন্ডন: ফুটবল ম্যাচের স্কোরলাইন, নাকি টেনিসের? বুঝতে অসুবিধে হতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে সবসময়ই দেখা মেলে রোমাঞ্চকর সব ম্যাচের। কখনও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে অনিশ্চিত হয়ে যায় ইতালির বিশ্বকাপ, আবার কখনও কাজাখাস্তানের জালে ৯ গোল দিয়ে উৎসব সারে ফ্রান্স। যেখানে দ্বিতীয়টির দেখাই মেলে বেশি। সোমবার রাতেই যেমন, ফিফা র্যাংকিংয়ের তলানির দল স্যান ম্যারিনোকে নিয়ে ছেলেখেলাই করল ইউরো কাপের রানার্সআপ দল ইংল্যান্ড।
advertisement
মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের একার চার গোলসহ গুনে গুনে দশবার স্যান ম্যারিনোর জালে বল প্রবেশ করিয়েছে তারা। এই ১০-০ গোলের বিশাল জয়ে বিশ্বকাপ টিকিটও নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। ম্যাচটি অবশ্য হারলেও ক্ষতি ছিল না ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ীদের। কেননা অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে ১-২ গোলে হেরেছে পোল্যান্ড। ফলে এমনিই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
ম্যাচটিতে গোল বন্যা করে ১৯৬৪ সালের পর কোনো ম্যাচে ১০ গোলের ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একই ব্যবধানে ছিল তারা। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় ১৩-০ গোলে; ১৮৮২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। দলের বিশাল জয়ে একাই চার গোল করে এলিট ক্লাবে ঢুকেছেন হ্যারি কেইনও। আলবেনিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ ইংলিশ খেলোয়াড় কেইন।
স্কোরশিটে নাম তুলেছেন ইংল্যান্ডের আরও পাঁচ খেলোয়াড়। তারা হলেন হ্যারি মাগুইরে (৬), এমিল স্মিথ রো (৫৮), টাইরন মিংস (৬৯), ট্যামি আব্রাহাম (৭৮) ও বুকায়ো সাকা (৭৯)। অন্য গোলটি ছিলো আত্মঘাতী। চার গোল করতে কেইন সময় নিয়েছেন মোটে ১৫ মিনিট। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে আই গ্রুপ থেকে ১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ কোচ সাউথ গেট অবশ্য উচ্ছ্বসিত হতে নারাজ। আসল লক্ষ্য কাতারে বিশ্বকাপ জয়।