এরপর অ্যাডালফ হিটলারের নির্দেশে লন্ডন শহরের ওপর জার্মান বোমারু বিমানের হানা, ইংরেজদের শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিল। খেলার মাঠেও এই দুই প্রতিপক্ষ যখন মুখোমুখি হয় ফিরে আসে ইতিহাস। ফুটবল মাঠে ইংল্যান্ড বনাম জার্মানি মানেই আলাদা উত্তেজনা। আর মাত্র তিন দিন। মঙ্গলবার লন্ডনে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই চিরশত্রু। ইতিমধ্যেই মানসিক লড়াই শুরু করে দিয়েছে জার্মান শিবির।
advertisement
কোচ জোয়াকিম লো জানিয়েছেন খেলা যেহেতু হবে লন্ডনে, তাই পুরো সমর্থনটাই থাকবে ইংলিশদের সঙ্গে। ফুটবলের দর্শক সমর্থন একটা দলকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। সেই সুবিধা পাবে ইংল্যান্ড। অল্পসংখ্যক দর্শক থাকবে জার্মানির। তাই এই ম্যাচে ইংল্যান্ড অনেকটাই ফেভারিট মনে করেন জার্মান ম্যানেজার। ইংলিশ ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট অবশ্য এর পাল্টা কিছুই বলেননি। তবে ভেতর ভেতর কিমিচ, কাই, নাব্রি, হামেলসদের বিরুদ্ধে ট্যাকটিকস সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন ইংলিশ ম্যানেজার।
মাঠের লড়াইয়ে যেন বিশ্বযুদ্ধের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। দুই চিরন্তন শত্রু বলে কথা ! একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকবে ফুটবল বিশ্ব।জার্মানি শেষ ম্যাচে যেভাবে আটকে গিয়ে ড্র করেছিল হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে তাতে তাঁদের চারিত্রিক দৃঢ়তা আবার প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড চেক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে জিতে শীর্ষে থেকে নক আউটে উঠেছে। তাই মাঠের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবে না।