জার্মানদের তখন চোখ ছলছল। জার্মানদের মতো বজ্রকঠিন মানসিকতার সমর্থকরাও এমন বাস্তব মেনে নিতে পারছিলেন না। ৭৫ মিনিটে মুলার যখন গোল মিস করলেন তখন জার্মানি ১-০ তে পিছিয়ে। মুলার গোল করলেই হত ১-১। অর্থাত, আবার ম্য়াচে ফিরত জার্মানরা। কিন্তু জীবনের শেষ ইউরোয় নেমে এ কেমন মিস করে বসলেন মিস্টার রমডয়টার! এত সহজ সুযোগ মুলার জীবনে কখনও ফস্কেছেন কি না সন্দেহ। কিন্তু জীবনের সব দিন রোববার হয় না। সেটা হয়তো এদিন বুঝলেন মুলার। ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বাইরে মারেন মুলার। ওয়েম্বলিতে তখন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা প্রায় থ মেরে গিয়েছিলেন। আসলে তাঁরাও ভেবে পাচ্ছিলেন না, মুলারের মতো একজন কী করে এত সহজ সুযোগ মিস করলেন!
advertisement
মাত্র ২০ বছর বয়সে জীবনের প্রথম বিশ্বকাপে পাঁচ গোল। ২৯ বছর বয়সে যখন একজন ফুটবলারের ঝকঝকে কেরিয়ার তখন তিনি জুনিয়রদের জায়গা করে দিতে চাইছেন। এমন একজন ফুটবলার হয়তো শতাব্দীতে একজনই আসেন। আর এমন কিংবদন্তি ফুটবলারেও খারাপ দিন যায়। এদিন সেটাই প্রমাণ হল আবার। তবে একটা খারাপ দিন বা একটা সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা তাঁকে সারা জীবনের সমস্ত উপার্জনে ছায়া ফেলতে পারে না। আবার এটাও ঠিক, জীবনের শেষ ইউরো কাপে ভাগ্যদেবী তাঁর সঙ্গে এমন ছেলেখেলা না খেললেই পারত। এক ফোঁটা কালিও তো দাগের মতোই, তাই না!