যদি তা-ই হয়, তাহলে ফুটবলের ‘ঘরে ফেরা’র পথের দৈর্ঘ্য আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। ইউরোতে গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা শেষ চারে পৌঁছে গেছে। আর এ সাফল্যে কোচ ‘দলীয় সংহতি’কেই বড় করে দেখছেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বড় জয়ের পর খুশি ইংলিশ সর্মথকরা। তবে সাউথগেট নিজেকে বেশ খানিকটা সংযত রাখছেন। তিন বছর আগেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি ঘটেছিল তাদের।
advertisement
এবার ইউরোতেও ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সাউথগেট। তাঁর প্রার্থনা থাকবে ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি যেন ইউরোতে না হয়। এবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সকলের মন জয় করা ডেনমার্ক। ইংলিশ বেঞ্চের সুনাম দুর্দান্ত। এ নিয়ে সাউথগেটের সমালোচনাও আছে। সমালোচকেরা মনে করেন, দারুণ সব খেলোয়াড়কে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে কোচ ঠিক করছেন না। জেসন মাউন্ট, ফিল ফডেন, জ্যাক গ্রিলিশ, মার্কাস রাশফোর্ড, জাডন সাঞ্চো—প্রতিশ্রুতিশীল সব তরুণ ইংল্যান্ডের বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও সাঞ্চো প্রথম থেকেই ছিলেন ইউক্রেন ম্যাচে।
দল ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে, সে জন্য সাউথগেট কৃতিত্ব দিচ্ছেন সবাইকে। কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলীয় সংহতিকে, ‘দলীয় সংহতির কারণেই আমরা এ পর্যায়ে এসেছি। অবশ্যই দলের খেলোয়াড়দের মান একটা বড় ব্যাপার, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি একটা ব্যাপার দেখছি, এবারের ইউরোয় বড় বড় দল বিদায় নিয়েছে কেবল দলীয় সংহতির অভাবে। তাদের দলে ভাল ভাল খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু দলে ঐক্য ছিল না' বলে দিয়েছেন তিনি। ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি মগুইর দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখানোর পাশাপাশি গোল করেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা জানিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠে সন্তুষ্ট হয়। ফাইনালে ওঠা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়া একমাত্র লক্ষ্য।