কোন ছকে আটকাতে হবে মুলার, কাই হবেরটজ, কিমিচদের, তা এখন থেকেই মাথার মধ্যে ঘুরছে ইংল্যান্ড শিবিরের। চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। তবে এখনও মন ভরাতে ব্যর্থ গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বিশেষত দলের আপফ্রন্টে হ্যারি কেনের ফর্ম চিন্তায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে মাত্র দু’বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে সক্ষম হয়েছে ইংল্যান্ড। আর দুটো গোলই এসেছে রহিম স্টার্লিংয়ের পা থেকে।
advertisement
যদিও নক-আউট পর্বে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে বলেই দাবি কোচ সাউথগেটের। পাশাপাশি তিনি স্বীকার করেছেন, এখনও পর্যাপ্ত উন্নতির অবকাশ রয়েছে। রক্ষণ নিয়ে সাউথগেট যতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলুল না কেন, দলের মূল সমস্যা যে আক্রমণভাগ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে ইউরো কাপে ভালো কিছু করতে হলে, প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ ও চলতি আসর মিলিয়ে ইউরোতে সাতটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে হ্যারি কেনের। তবে এখনও পর্যন্ত গোলের দেখা নেই। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে কোনও ইংলিশ স্ট্রাইকারের এরকম গোল খরা চলেনি। ইউরোর আসরে ইংল্যান্ডের হয়ে ৯ ম্যাচে ৭টি গোল রয়েছে অ্যালান শিয়েরারের। তারপরেই রয়েছেন ওয়েন রুনি। ১০ ম্যাচে ৬টি লক্ষ্যভেদ রয়েছে তাঁর। মাইকেল আওয়েন ও রহিম স্টার্লিংয়ের ঝুলিতে রয়েছে দু’টি করে গোল।
এই নিরিখে কয়েক যোজন পিছিয়ে হ্যারি কেন। তাই তাঁর অফ ফর্ম অবশ্যই সাউথগেটের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে এই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেন কিনা। হ্যারি কেন কিন্তু অতীতে জার্মানির বিরুদ্ধে গোল করেছেন। সমালোচনার জবাব দিতে ইংলিশ তারকা যদি ওই ম্যাচে জ্বলে ওঠেন তাহলে কিছু বলার থাকবে না।