রোমের ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে দর্শক গ্যালারি থেকে উদ্দীপনার রসদ পাবেন না সাউথগেটের ছেলেরা। বরং সেই সুবিধাটা ভোগ করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে ইউক্রেনের। আর তার নেপথ্যে রয়েছেন কোচ আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। খেলোয়াড়ি জীবনে এসি মিলানের জার্সিতে প্রচুর গোল করে ইতালির ফুটবলমহলে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। এবার কোচ হিসেবেও সেই ভালোবাসা ও সমর্থন পাওয়ার আশায় রয়েছেন ইউক্রেনের কিংবদন্তি।
advertisement
চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে খুব একটা কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি হ্যারি কেনদের। যথেষ্ট সহজ গ্রুপ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। আর শেষ ষোলোয় যে জার্মানিকে তারা হারিয়েছে, সেই দলটা অতীতের ছায়া মাত্র। সবচেয়ে বড় কথা ইংরেজরা এখনও পর্যন্ত সবক’টি ম্যাচই খেলেছে ঘরের মাঠে। এই প্রথম তাদের খেলতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। রহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেনের গোলে শেষ আটে পৌঁছেছে ১৯৬৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফলে এক লাফে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে সাউথগেট-ব্রিগেডের।
শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইউক্রেনের মুখোমুখি হচ্ছে ‘থ্রি লায়ন্স’। স্বভাবতই প্রত্যাশার মিনার গড়তে শুরু করে দিয়েছেন ইংরেজ সমর্থকরা। তবে প্রতিপক্ষকে হাল্কাভাবে নিলে পস্তাতে হবে ইংল্যান্ডকে। ইউক্রেন দলে ইয়ারেমচুক, ইয়ারমোলেঙ্কো, জিনচেঙ্কোর মতো প্রচণ্ড লড়াকু ফুটবলার রয়েছেন। কোচ আন্দ্রে শেভচেঙ্কোকে তাঁরা কথা দিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে জীবন বাজি রেখে লড়াই করবেন।
তবে ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার রাইস এবং ট্রিপিয়ার জার্মানির বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন। আজকের ম্যাচে তাঁদের খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। তাছাড়া রাইস যদি আজ হলুদ কার্ড দেখেন তাহলে দল সেমিফাইনালে উঠলে তিনি খেলতে পারবেন না। তাই বুঝে শুনে প্রথম দল বাছতে হবে সাউথগেটকে। অনুশীলনে চোট পেয়েছেন সাকা। পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসতে পারেন মাউন্ট।
এছাড়া ডিফেন্ডার হ্যারি মগুইর এবং ফিলিপস একটি হলুদ কার্ড দেখলেই খেলতে পারবেন না সেমিফাইনালে। চোট থাকায় ইউক্রেন দলে নেই আর্তেম বসেদিন। ইয়ারমোলেনকো এবং জুখোভ চোটের তালিকায় রয়েছেন। তৈরি রাখা হচ্ছে ডভিককে। কিন্তু এত দূর পৌছে খালি হাতে ফিরতে রাজি নয় হলুদ জার্সিধারীরা। ইংল্যান্ড ফেভারিট হলেও বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না ইউক্রেন।
ইংল্যান্ড বনাম ইউক্রেন
আজ রাত - ১২:৩০