উরুগুয়ে: ১ ( গিমিনেজ-৯০')
#একাতেরিনবার্গ: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে চোট পাওয়ার পর বিশ্বকাপে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল মিশরের তারকা মহম্মদ সালাহ-র ৷ বেশ কয়েকদিন মাঠের বাইরে থাকার পর অবশেষে মিশরবাসীদের সুখবরটা দেন কোচ হেক্টর কুপার ৷ উরুগুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই নাকি খেলতে পারবেন লিভারপুল তারকা হেক্টর কুপার ৷ শুক্রবার অবশ্য সালাহ-র ফ্যানদের হতাশই হতে হয়েছে ৷ শেষপর্যন্ত তাঁকে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নেননি মিশর কোচ ৷ দলও হার হজম করল একেবারে শেষ মিনিটের গোলে ৷
advertisement
জন্মদিনে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে ম্যাজিক দেখাবেন সালাহ ৷ এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের ৷ কিন্তু কোথায় কী, তাঁকে মাঠেই নামালেন না কোচ ৷ ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর অবশেষে ভাঙল ডেডলক ৷ কর্নার থেকে হেডে গোল করে উরুগুয়েকে জেতালেন হোসে গিমিনেজ ৷
আরও পড়ুন-রোনাল্ডো বনাম র্যামোস কচাকচি ছেড়ে চোখ সেঁকে নিন জর্জিনা-রুবিও-র উষ্ণতায়
এদিনের ম্যাচ অবশ্য আরও অনেক বেশি গোলে জিততে পারত উরুগুয়ে ৷ গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ৷ যা স্বভাবতই চিন্তা বাড়ায় উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজের ৷ গিমিনেজের গোলের পর নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি তাবারেজ ৷ হুইলচেয়ার এবং হাতের স্টিক ছেড়ে প্রায় লাফিয়েই উঠেছিলেন তিনি ৷ ৯০তম মিনিটে গোল খাওয়ায় আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল না মিশরের ৷ ফলে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তনটা খুব একটা সুখের হল না সালাহ-র দেশের ৷
গোটা ম্যাচের এই একটাই ছবি। তা-ও আবার সুয়ারেজ-কাভানির মতো নায়কদের নয়। তারকা স্ট্রাইকার থাকা সত্ত্বেও ডিফেন্স থেকে এসে গোল করতে হল হোসে গিমিনেজকে। বাকি ম্যাচে তাহলে কী করলেন সুয়ারেজ-কাভানিরা ? একাধিক গোল নষ্ট। বলা ভাল, বারবার তাঁরা ধাক্কা খেলেন একজনের কাছে। তিনি মিশরের গোলরক্ষক আল-শানাউই। গোটা ম্যাচে কমপক্ষে পাঁচবার তিনি দুর্গ হয়ে উঠলেন। এরমধ্যেই একবার দুরন্ত ভাবে বাঁচালেন কাভানির শট। একসময় মনে হচ্ছিল নীল নদে হয়তো ডুবে গেল উরুগুয়ে। অস্কার তাবারেজ হাঁফ ছাড়লেন গিমিনেজের দুরন্ত হেডে। আর মহম্মদ সালাহ। আপাতত এই বিশ্বকাপে অতিথি।