দলবদলের আসরে এবার থেকেও নেই মোহনবাগান। চার্চিল, রিয়াল কাশ্মীর, গোকুলামের মত দলগুলোও চুপচাপ। ময়দানে একাই রাজ করছে ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রত বলেছিলেন,"আমাদের আইএসএল খেলার তাগিদ আছে। তাই তাড়াটা বেশি। আমাদের সমর্থক-বেসড ক্লাব। শতবর্ষে দাঁড়িয়ে আছি। এই মরশুমে সাফল্য আসেনি। এবারেও ট্রফি না এলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। তাই এবার আগেভাগেই নামতে হয়েছে।"
advertisement
চুলোভা, বলবন্ত, উমিদের সই হয়ে গিয়েছে। লাল-হলুদের পরবর্তী লক্ষ্য জেজে, শেহনাজ, বিকাশ জাইরুরা। দল তো ভালই হচ্ছে এবার? প্রশ্ন শেষ করার আগেই ইনসাইড ডজ দেবব্রত সরকারের,"সে তো মাঠে বোঝা যাবে। আসলে ভারতীয় তারকারা প্রায় সবাই আইএসএল দলগুলোয় চুক্তিবদ্ধ। তাই তাদের পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে এক-আধজন আছেন, তাদের পেতেই ঝাঁপিয়েছি।"কিন্তু আইএসএল খেললে তো দুর্দান্ত মানের বিদেশি ফুটবলার দরকার! ময়দানের পোড় খাওয়া দুদে ক্লাবকর্তার মতোই দেবব্রতর ঠোটের কোণায় এক চিলতে হাসি। বলে চললেন,"পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এবার অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির দল চালাতে নাভিশ্বাস উঠবে। বিদেশিরাও অনেক কম বাজেটে খেলতে রাজি হয়ে যাবে। বিদেশি নিয়ে তাই তাড়াহুড়ো করছি না। পরে অনেক কম বাজেটে ভাল বিদেশি পাব। কথা দিচ্ছি, দল এবার ভাল হবে।"
একথা সেকথার পর ওঠার আগে মনের সন্দেহ দূর করতে আরও একবার প্রসঙ্গটা তুলে ফেললাম। এত ভাল দল করে দ্বিতীয় স্তরের লিগ খেলতে হবে না তো? প্রতিবেদকের মন পড়েই কী না কে জানে! জবাবটা এল,"লিখে নিন, ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে। কী ভাবে খেলবে? কেন খেলবে? এখনই ভেঙে বলতে পারব না। তবে আইএসএল খেলব।" ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা বলছেন বলে কথা! লাল-হলুদের একচ্ছত্র নায়ক। তিনি যখন এতটা জোর দিয়ে বলছেন, লাল-হলূদ জনতার বিশ্বাস না করে উপায় কী! লকডাউন এর মাঝে দেব-ব্রত তে আস্থা রেখেই আশা-আশঙ্কার দোলাচল কাটুক শতবর্ষে পা রাখা ক্লাবের লাখো সমর্থকের।
PARADIP GHOSH