বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট আগেই জানিয়েছিল, ক্লাব কর্তারা চুক্তিপত্র সই না করলে ফুটবল দল তৈরী করা হবে না। অথচ ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস রয়েছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং রাইটস না ফেরালে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কোন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। ফলে শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবের ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে।
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারী জুটিয়ে শেষ মুহূর্তে মউ স্বাক্ষর করে আইএসএল খেলার সুযোগ পেয়েছিল লাল-হলুদ। মউ সই হলেও মূল চুক্তিপত্রে সই নিয়ে দুই পক্ষের টানা-পোড়েন চলছিল তখন থেকেই। চুক্তিপত্রের কয়েকটি ক্লজ নিয়ে সাবেকি ক্লাব কর্তাদের আপত্তি ছিল শুরু থেকেই। অবশেষে মধ্যস্থতাকারীদের উদ্যোগে এরপর দুই পক্ষের আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। গত বুধবার বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে একটি রিভাইসড চুক্তি পত্র পাঠানো হয় ক্লাবে। কিন্তু তাতেও সই করতে রাজি হননি সাবেকি ক্লাব কর্তারা।
advertisement
শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্লাবে এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডেকে শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই না করার বিষয়টি পাশ করিয়ে নেন দেবব্রত সরকার, কল্যাণ মজুমদাররা। স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গল বনাম শ্রী সিমেন্টের জট খুলতে দুপক্ষই এখন আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছে।
ইস্টবেঙ্গল এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয় ছড়িয়ে পড়তেই হতাশ লাল-হলুদ সদস্য সমর্থকরা। ক্লাব কর্তাদের অনুগামী গুটিকয়েক সমর্থক ক্লাব গেটের বাইরে এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ইস্টবেঙ্গল যে শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্র সই করবে না, সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায জুড়ে ক্লাব কর্তাদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন লক্ষ লক্ষ লাল-হলুদ জনতা।