এটা ঠিক, অন্য দলগুলোর তুলনায় অনুশীলনের অনেক কম সময় পেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু একটা গোটা টুর্নামেন্টের কুড়িটা ম্যাচের মধ্যে তেরোটা খেলে ফেলার পরেও প্রথম একাদশ সেট করতে না পারার ব্যর্থতার দায়ভার নিশ্চিত ভাবে বর্তাবে কোচের ওপর। আর ইস্টবেঙ্গল কোচ লিভারপুলের কিংবদন্তি হলেও এই দোষ থেকে মুক্ত নন।
প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মানস ভট্টাচার্যরা স্পষ্টভাবেই বলছেন,"আইএসএলের বেশ কিছু ম্যাচে কোচের ট্যাকটিক্যাল ভুলের কারণে খেসারত দিতে হয়েছে লাল-হলুদকে। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে বিস্ময়কর কারণে দলের নিউক্লিয়াস ব্রাইট এনোবাখারেকে প্রথম একাদশে রাখেননি ফাওলার। পরিবর্ত হিসেবে ব্রাইট মাঠে আসার পরেই বিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল লাল-হলুদ। অজানা কোন কারণে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে স্টেনম্যানকে নামাননি কোচ। জার্মান মিডফিল্ডারের চোট ছিল, এমনও নয়। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন স্টেনম্যান। অথচ প্রথম পর্বের চেন্নাই ম্যাচে গোল ছিল ইস্টবেঙ্গলের এই মিডিওর।"
advertisement
প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্যরা বলছেন,"গেম রিডিংয়ের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে ব্যর্থ ফাওলার। হতে পারে, ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে সম্যক ধারনা না নিয়েই আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং করাতে চলে এসেছেন ব্রিটিশ কোচ। পরিস্থিতি অনুযায়ী ফুটবলার পরিবর্তন করে হাবাস, লোবেরারা যখন একের পর এক হার্ডল টপকে যাচ্ছেন, সেখানে কোচের ভুল স্ট্র্যাটেজিতে ডুবেছে ইস্টবেঙ্গল।"
১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। ফাওলার এখনও বলছেন, তাঁর পাখির চোখ প্লে-অফ। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের এখনও সাতটা ম্যাচ বাকি। ২৯ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু এফসির। ৭ ফেব্রুয়ারি লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর। ১২ ফেব্রুয়ারি খেলতে হবে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। ১৯ ফেব্রুয়ারি মর্যাদার ডার্বি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ এটিকে-মোহনবাগান।
সাতের আইএসএলের ট্রেন্ড বলছে, প্লে-অফ নিশ্চিত করতে অন্তত ৩০ পয়েন্ট হাতে থাকা জরুরী। ফাওলারের এই দলকে দেখে সেটা অন্তত এবার সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।
PARADIP GHOSH