বিশ বছর আগের ছবিটা ছিল প্যারিসের। দশ জনে খেলে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে সেদিন উড়িয়ে দিয়েছিলেন জিদানরা। ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল দিদিয়ের দেশঁর ফ্রান্স।
বিশ বছর পর আরও একটা ছবি সেন্ট পিটার্সবার্গের। মঞ্চটা একই আছে। শুধু বদলে গিয়েছে দেশঁর ভূমিকা। সেদিনের অধিনায়ক আজ ফ্রান্সের কোচ। শুধু কোচ নন, এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ধারাবাহিক কোচ। আধুনিক ফুটবলকে যিনি দেখিয়েছেন, ছন্দ-শিল্প নয়, ফুটবল এখন অঙ্কের খেলা। আর এই অঙ্কে তাঁর হাতে প্রচুর অস্ত্র।
advertisement
আরও পড়ুন-রাশিয়া বিশ্বকাপ ‘শেষপ্রহরী’দেরই, গোল্ডেন গ্লভের দাবিদার কারা ? দেখে নিন
প্রশ্ন উঠেছিল দিমিত্রি পায়েত না থাকা নিয়ে। কিন্তু মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গ পরবর্তী সময়ে সেই প্রশ্ন হয়তো ধামাচাপা পড়ে যাবে। যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স এখনও পর্যন্ত যে ফুটবল খেলেছে, তা আগাগোড়া প্রতিপক্ষকে মেপে। যার কোনও ব্যতিক্রম হল না বেলজিয়াম ম্যাচ। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ঠিক সময়ে গোল করেছেন উমতিতি। গোটা টিমের অক্সিজেনের মতো কাজ করলেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। আর আসল দিনে নিজেকে দুর্গে পরিণত করলেন ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিস। যা দেশঁর অঙ্ককে আরও সহজ করে দিল।
মারিও জাগালো, বেকেনবাউয়ার, তারপর তিনি। আর এক ম্যাচ জিতলেই কেল্লাফতে। না নিজের রেকর্ড নয়। দেশঁর চোখে ভাসছে বিশ বছর আগের প্যারিস। রবিবার রাতে তার পুনরাবৃত্তি চান এই মস্কোতে।