স্বাভাবিকভাবেই টাকাপয়সা খরচ করে সেখান থেকে ঘুরে আসার মতো সামর্থ্যবান ড্যানিশ ফুটবলপ্রেমীরাই কেবল খেলা দেখতে যাবেন। এই সুযোগটাই নিয়েছে ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান হার্নিং হেলিকপ্টারস। দেশের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখে তারা একটি ভিআইপি প্যাকেজ ছেড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তিন দিন আগে নিজেদের ফেসবুক পেজে এই প্যাকেজের বিজ্ঞাপন দেয় হার্নিং হেলিকপ্টারস।
advertisement
এরই মধ্যে ছয়জনের কাছে ‘রাউন্ডট্রিপ’ (যাওয়া–আসা) বিক্রি করেছে তারা। ব্যক্তিগত বিমানে এসব সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া এবং ফেরত নিয়ে আসা হবে। সেই বিমানে থাকবে পানশালা, ক্যাভিয়ার, তিন বেলা খাবার (বিমানেই) এবং ম্যাচের টিকিট। এ জন্য খরচ করতে হবে ৪৭ হাজার ইউরো (৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রায়)। হার্নিং হেলিকপ্টারসের মালিক স্টেফান এরলানডেসেন ড্যানিশ মিডিয়াকে বলেন, ‘বিষয়টি আসলে পথ বের করে মানুষকে চমকে দেওয়ার। ড্যানিশরা এখন দারুণ মেজাজে আছে। এমনকি আমি—যে কিনা সব সময় কাজ করি, কখনো ফুটবল দেখি না, তবু খেলা নিয়ে উৎসাহী।’
যেদিন এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সেদিনই ট্রিপগুলো বিক্রি হয়ে যায়। শুক্রবার কোপেনহেগেন থেকে আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হবে তারা। ড্যানিশ ফুটবলের এই ছয় ভক্ত নিয়ে এরলানডেসেনের মন্তব্য, ‘তারা সবাই মধ্যবয়সী। দেখে বিরক্তিকর মনে হয় না। যাওয়ার পথে তারা যে ভীষণ চাঙা মেজাজে থাকবে সেটা বলা বাহুল্য।’ ইউরোয় এবার ’৯২-এর স্মৃতি ফিরিয়ে আনার পথে রয়েছে ডেনমার্ক। সেবার সবাইকে অবাক করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
এবার ‘বি’ গ্রুপ থেকে লড়াকু পারফরম্যান্স দেখিয়ে তারা উঠে আসে শেষ ষোলোয়। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের হার্ট অ্যাটাক, টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া যেন নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে দলটাকে। প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, দারুণ উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ডলবার্গ, ক্রিশ্চিয়ানসান, দ্যামসগার্ড, স্কিমিচেলরা। লক্ষ্য একটাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ডেনমার্ক শুধু একটা দল নয়। গোটা দেশ দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ফুটবলারদের পাশে। তাই ধনী সর্মথকরা টাকার পরোয়া করবেন কেন ?