তিনি যে খাবার পানীয় খাননি,যে হোটেলে ওঠেননি, যে প্লেনে সফর করেননি, কিংবা যে দেশে কখনই বেড়াতে যাননি, সে সব আজগুবি খরচ তাঁর ক্রেডিট কার্ডের ট্রাভেল একাউন্ট থেকে তিন বছর ধরে নিঃশব্দে বের করে নিচ্ছিল মারিয়া সিলভা নামের এক আন্তর্জাতিক ট্রাভেল এজেন্ট। বিশ্বখ্যাত একটি ট্রাভেল সংস্থা রোনাল্ডোর সব ধরণের যাতায়াত ও বেড়াতে যাওয়ার দায়িত্বে আছে। সেই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী মারিয়া রোনাল্ডোর বেক্তিগত ট্রাভেল কনসালটেন্ট।
advertisement
আরও পড়ুন - Ramiz Raja threatening : ভারতের পর জোড়া শত্রু নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড বলছেন রামিজ
সিআরসেভেনের ক্রেডিট কার্ডের ট্রাভেল একাউন্ট তিনিই হ্যান্ডেল করতেন। হঠাৎই অডিট করতে গিয়ে ধরা পড়ে এই জালিয়াতি। মারিয়া গত তিন বছর ধরে ভুয়ো ট্রাভেল, হোটেল বুকিং, খাওয়াদাওয়া, টিপস, ইত্যাদি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ইউরো সরিয়েছেন। রোনাল্ডো প্রতি টুর্নামেন্ট ও বড় ম্যাচের পরেই ছুটি কাটাতে যান, এবং খেলার জন্যই তাঁকে খুব ট্রাভেল করতে হয়, হোটেলে উঠতে হয়, যার পয়সা তিনি নিজে দেন, ক্লাবের এক পয়সা নেন না। গড়ে বছরে ১৫০ বার প্লেনে চাপতে হয় তাঁকে। অথচ তাঁর নামে ২০০ বার প্লেন বুকিং দেখানো হয়েছে।
ঠিক তেমনই যে সব খাবার, মদ স্বাস্থ্যের কারণে রোনাল্ডো মুখে তোলেন না, সে সবের ভুয়ো বিল বানানো হয়েছে। এমনকি হোটেলের রুম বুকিং থেকে টিপস পর্যন্ত ভুয়ো বিল করে ক্রেডিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করা হয়েছে। রোনাল্ডো এসব খেয়াল রাখতেন না, ফলে তিনি তাকিয়েও দেখেননি কি হচ্ছে। কারণ তিনি সঙ্গে কোনও অর্থ নিয়ে ট্রাভেল করেন না। এসবের জন্য আলাদা আলাদা এজেন্সি নির্দিষ্ট করা রয়েছে।রোনাল্ডোর আইনজীবী পুলিশে রিপোর্ট করলে ট্রাভেল সংস্থার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালানো হয়, এবং মারিয়ার জালিয়াতি ধরা পরে। একইভাবে সে পর্তুগালের অন্য তারকা নানির ১০ হাজার ইউরো সরিয়েছিল।