ম্যান ইউ -১
#বার্ন: স্বপ্নের মত সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড। মঙ্গলবার রাতে সেই সুইজারল্যান্ডে সেখানকার চ্যাম্পিয়ন দল ইয়ং বয়েজের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ড্র করতে হল ম্যান ইউনাইটেডকে। ম্যাচের হিরো সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গোল করলেন, শট নিলেন, খেলা তৈরি করলেন। আর ভিলেন ওয়ান বিসাকা। ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। ব্রুনো ফার্নান্দেজ দুর্দান্ত পাস বাড়ালে, পেছন থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসে ডান পায়ের ট্যাপ করেন রোনাল্ডো। বল বিপক্ষ গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
advertisement
এই নিয়ে ১৭৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে ১৩৫ গোল হয়ে গেল তাঁর। লিওনেল মেসির থেকে ১৫ গোল বেশি। এর কিছুক্ষণ পরে বাপায়ে একটা দুর্দান্ত শট নেন, যেটা বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক। কিন্তু এরপর ৩৫ মিনিটে বিপক্ষ দলের এক ফুটবলারের পায়ের ওপর বিশ্রী ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয় বিসাকাকে। দশ জন হয়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক ফুটবলের পথ ছাড়তে হয় ম্যান ইউকে।
ফরাসি ডিফেন্ডার ভারান এবং পর্তুগিজ রাইট ব্যাক দিয়েগো দ্যালোকে নিয়ে আসেন ম্যান ইউনাইটেড ম্যানেজার। ৬৬ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনে সুইস দল। গোল করেন মৌমি। ডি গিয়া শরীর ছুঁড়ে দিয়েও বলটা বাঁচাতে পারেননি। এরপর বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ৭১ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় রোনাল্ডোকে। নামানো হয় লিনগার্ডকে। দ্বিতীয়ার্ধের একজন বেশি ফুটবলার থাকার সুবিধা বুদ্ধি করে কাজে লাগায় ইয়ং বয়েজ।
কিন্তু ইউনাইটেড ডিফেন্সে আর বড় ভুল না করায় ম্যাচটা হেরে ফিরতে হবে না মনে হতে শুরু করেছিল রোনাল্ডোদের। ফিরতি লেগে নিজেদের ঘরের মাঠে জেতার জন্য সর্বশক্তি উজাড় করে দেবে রেড ডেভিল। তবে এদিন ম্যান ইউনাইটেড কোচকে চিন্তায় রাখবে পল পোগবার খারাপ ফর্ম।
তবে রোনাল্ডো বুঝিয়ে দিলেন তিনি পুরনো ক্লাবে ফিরে এসে শুধু নাম দিয়ে নয়, মাঠে পারফরম্যান্স দিয়ে আবার জায়গা করে নিতে চান ইউনাইটেড জনতার মনে। কিন্তু মনে হচ্ছিল যখন ইউনাইটেড কঠিন ম্যাচটা অন্তত ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে, তখন লিনগার্ড এমন একটা ব্যাকপাস করলেন, যা থেকে গোল করে গেলেন থিওসন।