কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার জন্য তাই সেই রোনাল্ডোই ভরসা পর্তুগাল শিবিরে।১০৯ টি আন্তর্জাতিক গোল করা রোনাল্ডোকে আটকাতে কি তাই আলাদা ছক কষছেন বেলজিয়াম কোচ ? বেলজিয়াম কোচ মার্টিনেজ অবশ্য নাই উত্তর দিয়েছেন। কারণ রোনাল্ডো ছাড়াও ব্রুনো ফার্নান্দেজ, জোতা,রুবেন দিয়াসের উপরও নজর দিতে হবে বেলজিয়ামকে।জার্মানির বিরুদ্ধে ৪ গোল খাওয়ার পর পর্তুগীজ ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় ছিল অধিকাংশ সমর্থক। ডিফেন্সের দুই স্তম্ভ পেপে এবং দিয়াস খুব ভাল খেললেও দুই উইং ব্যাকের ডিফেন্সিভ প্রতিভা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা।
advertisement
মিডফিল্ডে বদল এনে ফ্রান্স ম্যাচে লাভ পেয়েছে পর্তুগাল দল।তবে ব্রুনো ফার্নান্দেজকে বসানো উচিৎ হয়নি বলে অনেকেই মনে করেন। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে রাফা সিলভাকেও সঠিক সময়ে নামানো যেতে পরে। গ্রুপের শেষ ম্যাচের মত রেনেটো সাঞ্চেজকে শুরু থেকেই খেলানো উচিৎ বলে মনে করেন অনেকে। তবে তার জন্য বসতে হবে বর্নান্দ সিলভাকে।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স বেলজিয়াম প্রস্তুত পর্তুগালের জন্য। এবারের এই টুর্নামেন্টের প্রবল দাবিদার তারা।ইউরোর শুরু থেকেই লুকাকু দলে ছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কেভিন ডি ব্রুয়েন এবং এডেন হ্যাজার্ড। এই ত্রিমুখী আক্রমন যেকোনো দলের ডিফেন্সের কাছেই ত্রাস। লুকাকু নিজের অসাধারণ ফুটবল এখনও বজায় রেখে চলেছেন। প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২টি গোল করেন তিনি।ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল না পেলেও অসাধারন খেলার প্রদর্শন দেখান। শেষ ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি গোল করেন তিনি।
তিন ম্যাচে তিন গোল করে লুকাকু ইউরো ২০২০ এর সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন। তার উপরে রয়েছেন রোনাল্ডো। কে শীর্ষ স্থান দখল করে সেটাও দেখার হবে এই ম্যাচে। ইউরো ২০২০ এর হেভিওয়েট দুই দল এর আগে মোট ১১ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। দুই দলই ৩ বার জিতেছে। ২০১৮ তে শেষবার মুখোমুখি হয় এই দুই দল।টানটান উত্তেজনায় ভরা ম্যাচটি ড্র হয়। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে দর্শকদের উত্তেজনা চরমে। সেভিয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই ম্যাচের জন্য টিকিটের হাহাকার প্রচুর।তাই দর্শকদের মন ভরানো ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত দুই দলই।