advertisement
প্রথমার্ধের খেলায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে কার্যত লঙ্কার ঝাঁঝ নিয়ে নামে ব্রাজিল৷ একের পর এক দ্রুত উঠে আসা আক্রমণ পড়তে থাকে আর্জেন্তাইন রক্ষণে৷ ম্যাচের ৫২ মিনিটে সাম্বাবাহিনীর রিচার্লিসনের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়৷ এরপরেও একের পর এক আক্রমণ আসতেই থাকে৷ নীল -সাদা দুর্গের দায়িত্বে থাকা এমিলিয়ানো মার্তিনেজ একের পর এক গোল বাঁচিয়ে যান৷এমনও সময় আসে যখন লিও মেসিকেও ডিফেন্সে উঠে আসতে হয়েছিল৷ আবার একটা সময় ট্যাকেল করা নিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়ায়৷
বিশাল মারাকানার মাঠে এই ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী থাকতে আজ হাজির ছিলেন তিন হাজার দর্শক, আর বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি দর্শক৷ অঙ্ক খুবই কঠিন আর খেলায় দিনের শেষে অঙ্কেরই দাপট টের পাওয়া গেল৷ কোপা আমেরিকার ফাইনালে (Copa America Final) প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে খেলা শেষ করে আর্জেন্টিনা৷ গোল যাঁর নামের পাশে খোদাই করা তিনি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া৷ দুই দলের দুই মহাতারকা অর্থাৎ লিওনেল মেসি ও নেইমার দুজনেই কিছু ঝলক দেখালেও , বিপক্ষের কোচের স্ট্র্যাটেজির কাছে কার্যত বোতলবন্দি থাকলেন৷ মেসি ও নেইমার দৌঁড়লেই তিনজন করে মার্কিংয়ের চেনা ছকই দেখা গেল প্রথমার্ধে৷
ম্যাচের ২২ মিনিটে আর্জেন্টাইন রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এগিয়ে দেন নীল -সাদা বাহিনীকে৷ রেনান লোডির ভুল আর তারপরে এডারসন নেট খুঁজে পেতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ ডি মারিয়া৷ দেখে নিন সেই গোল৷
এদিন প্রথমার্ধের খেলায় ৫৪ শতাংশ বল পজেশান ছিল ব্রাজিলের৷ অন্যদিকে আজুরি বাহিনী ৪৫ শতাংশ বল পজেশন নিয়ে খেলল৷ সেলেকাওবাহিনী ২ টি শট গোলবাউন্ড ছিল, তার একটি অন টার্গেট ছিল৷ অন্যদিকে নীল সাদা বাহিনীর ক্ষেত্রে একটি শট অন টার্গেট আর সেটিই গোল ছিল৷
দুই দলেই বেশ কয়েকটি ফাউল হয়৷ তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি৷