লাতিন আমেরিকা কেন্দ্রীক টুর্নামেন্ট হলেও, যেহেতু বেশির ভাগ প্লেয়ারই ইউরোপের ক্লাবগুলোয় খেলেন, তাই কোপা আমেরিকায় লাতিন আমেরিকার স্কিল ও ইউরোপীয় ঘরানা-- দুটোর মিশেল ঘটে৷ তাই ফিফা বিশ্বকাপের পাশাপাশি কোপা আমেরিকাও ব্যাপক জনপ্রিয় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে৷
advertisement
সোমবার ভোরে ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা, যাঁরা টিভি-র পর্দায় চোখ রাখলেন, তাঁরা ইকুয়েডরের দুর্বল খেলায় হতাশ হলেও, উরুগুয়ের স্কিলে মুগ্ধ৷ এ দিন উরুগুয়ের হয়ে গোলের খাতা খোলেন নিকোলাস লদেইরো৷ ৬ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত স্কিলে মার্কারদের বোকা বানিয়ে অনবদ্য গোল করেন৷ এরপর ৩৩ মিনিটে স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানির অনবদ্য শট এবং গোল৷ হাফ টাইমের খানিক আগেই ৪৪ মিনিটে লুই সুয়ারেজের ফুটবল স্কিল দেখার সৌভাগ্য৷ বেশ কিছু কাল মাঠের বাইরে থেকে ফিরে এসেই কোপা-য় জাত চিনিয়ে দিলেন৷ অসাধারণ গোল করে ৩ শূন্যে নিয়ে গেলেন উরুগুয়েকে৷
আর্তুরো মিনার হাস্যকর আত্মঘাতী গোলটি না-হলে ইকুয়েডর শূন্যেই শেষ করত৷ অবশ্য ৭৮ মিনিটে মিনা একটি গোল ইকুয়েডরের জালে জড়িয়ে শোধও দিয়ে দেন আত্মঘাতী গোলের৷ বল পজেশন থেকে টার্গেট শট-- সবতেই উরুগুয়ের থেকে যোজন পিছিয়ে ইকুয়েডর৷ গোটা ৯০ মিনিটে আক্ষরিক অর্থেই একটি বল গোলমুখী করতে পারল না ইকুয়েডর৷ উপরন্তু কুইন্তেরসের খারাপ ট্যাকলে লাল কার্ড দেখতে হল৷ ফলে একে খারাপ ফুটবল, তার উপর ১০ জনেই খেলতে হল হারনান গোমেজের দলকে৷ উরুগুয়ের যেখানে টার্গেট শট ৭টি , সেখানে ইকুয়েডরের মাত্র ১টি৷ তাও অতি দুর্বল৷ ৯টি কর্নার পায় উরুগুয়ে৷ ইকুয়েডরকে মাত্র একটি কর্নারেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷