দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেসুসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেরুর বিপক্ষে সোমবার সেমিফাইনালে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও জেসুস ছিলেন না। তার পরিবর্তে মূল একাদশে ডাক পেয়েছেন উইঙ্গার এভারটন। চিলির বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগেনিও মেনাকে ফ্লাইয়িং কিক মারার কারণে লাল কার্ড দেখতে হয়েছে জেসুসকে। যদিও ম্যাচ শেষে জেসুস পুরো ঘটনাটিকে একটি দূর্ঘটনা জানিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কনমেবল জেসুসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে।
advertisement
ব্রাজিল এই শাস্তির বিপক্ষে কোন আপীল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী শনিবার রিও’র ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দুই বছর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে জেসুস এক গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। কোচ তিতের অধীনে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দু’বার লাল কার্ড পেলেন জেসুস।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক চটেছেন সুপারস্টার নেইমার। দলের অধিনায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। নেইমার মনে করেন অপরাধের তুলনায় বেশি শাস্তি হচ্ছে জেসুসের। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার অনিচ্ছাকৃত ফাউল করেছিলেন এবং তৎক্ষনাত আঘাতপ্রাপ্ত প্রতিপক্ষ ঠিক আছে কিনা জানতে গিয়েছিলেন। ফুটবলের নিয়ম এবং স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়েছেন তিনি। তার পরেও এই সিদ্ধান্ত প্রশ্ন তুলছে মনে করেন নেইমার।
ইতিমধ্যেই জেসুস ছাড়াই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিল। কোচ তিতে আর্জেন্টিনাকে ঘরের মাঠে হারিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান। দুর্দান্ত ছন্দে আছেন অধিনায়ক নেইমার। শেষ দুটি ম্যাচে তরুণ স্ট্রাইকার লুকাস প্যাকতা গোল পেয়েছেন। নেইমার চাইবেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘরের মাঠে হারিয়ে জবাব দিতে।