তবে ৬৩ মিনিট থেকে ১০ জন নিয়ে খেলা দলটি সমতা ফেরাতে পারেনি, উল্টো যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে খেয়ে বসে চতুর্থ গোল। পাওলিনিও করেন শেষ গোলটি। দানি আলভেজ, দগলাস লুইজ, ম্যালকম ও রিচার্লিসনের মতো তারকাদের নিয়ে দল সাজানো ব্রাজিল প্রথম গোলটি পায় ৭ মিনিটে। ২২ মিনিটে ব্রুনোর ক্রস থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিচার্লিসন। ৩০ মিনিটে রিচার্লিসনের হ্যাটট্রিক গোলেও অবদান ছিল ব্রুনোর।
advertisement
ব্রাজিল প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত ৪-০ গোলে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যাথুস কুনিয়া। অন্যদিকে সাপ্পোরোয় ১৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে দুবারের সোনাজয়ী আর্জেন্টিনা। ২০০৮ সালের পর প্রথম অলিম্পিক ফুটবলে সুযোগ পাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন উইঙ্গার লেচলান ওয়েলস।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ১০ জনের দল হয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলটির লেফটব্যাক ফ্রান্সসিসকো ওর্তেগা। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি আর্জেন্টাইনরা। ৮০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় মার্কো টিলিও।
পরের ম্যাচে মিশরের বিরুদ্ধে জিততেই হবে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন দেশকে। যদিও কোপা আমেরিকার কোনও ফুটবলারই নেই এই আর্জেন্টিনা দলে, তবুও ম্যানেজার বাতিস্তা জানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের।ব্রাজিলের কোচ আন্দ্রে জার্দিন জানিয়েছেন গতবার নিজেদের ঘরের মাঠে অলিম্পিক ফুটবলে প্রথম সোনা জিতেছিল ব্রাজিল। সেই দলের নেইমার, কুটিনহো এই দলে না থাকলেও চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখাই আসল টার্গেট হলুদ সবুজ জার্সির।