এর আগে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগানকে হারতে হয়েছিল মুম্বই সিটির কাছে। কিন্তু এই দল ভবিষ্যতে অনেক বড় কিছু করার ক্ষমতা রাখে, সেই প্রমাণ অবশ্য পাওয়া গিয়েছিল তখনই। বুধবার এএফসি কাপের জোনাল সেমি-ফাইনালে উজবেকিস্তানের আল নাসাফের বিরুদ্ধে যেন বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু বাস্তবে হল ঠিক তার উল্টো। এদিন শুরুতেই কাউকো ও শাহিলকে সুযোগ দিয়েছিল মোহনবাগান। শক্তিশালী দল নামিয়েছিল নাসাফও। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই প্রীতম কোটালের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। এক গোলে এগিয়ে থাকা নাসাফ এর পর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। আরও প্রকট হয়ে পড়ে মোহনবাগানের রক্ষণের জীর্ণ দশা।
advertisement
আরও পড়ুন- La Liga | জোড়া গোলে নায়ক সুয়ারেজ, পিছিয়ে পড়ে জয় অ্যাটলেটিকোর
সোমবার বিমান ছাড়তে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা পর তাসখন্দে পৌঁছেছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। শীতের আমেজ ছিল সেখানে। ফলে আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছিল রয় কৃষ্ণদের। তাসখন্দ থেকে বুলেট ট্রেনে স্টেডিয়াম সংলগ্ন হোটেলে পৌঁছতে তাঁদের সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। তবুও সোমবার সন্ধ্যায় প্র্যাকটিসে নামে হাবাসের দল। কিন্তু এত পরিশ্রম বাস্তবে ফল দিল না এটিকে মোহনবাগানকে। এদিন নাসাফের ফুটবলার নরচায়েভ হ্যাটট্রিক করেন। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল করেন নরচায়েভ। এর পর ২১ ও ৩১ মিনিটে গোল করেন তিনি। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি মিস করে নাসাফ। না হলে প্রথমার্ধেই তারা ৬ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। জয়ের ব্যবধানও বাড়ত।