ভারতে খেলা বর্তমান বিদেশি স্ট্রাইকারদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ফিজির গোলমেশিন। তাঁকে যে কোনও মূল্যে রেখে দিতে মরিয়া ছিল ক্লাব। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং তার টিম কৃষ্ণকে হারাতে চাননি। এটিকে মোহনবাগানে যোগ দিয়ে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘কলকাতা এখন আমার দ্বিতীয় বাড়ি। ক্লাবের সদস্য- সমর্থক, কলকাতার মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।’’
ভারতে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি যে দ্বিধায় ছিলেন তা স্বীকার করে নিলেন কৃষ্ণ। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে আসার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিলাম কোভিড পরিস্থিতির জন্য। কিন্তু কর্তারা আমার আর আমার পরিবারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করায় আমি নতুন চুক্তিতে সই করেছি। ক্লাবের সদস্য সমর্থকরা আমায় সবসময় উদ্বুদ্ধ করেছেন, সমর্থন করেছেন। আমি এতে আপ্লুত।’’
advertisement
স্প্যানিশ কোচ অন্তনিও লোপজ হাবাসের কোচিংয়ে এই নিয়ে টানা তিন বছর খেলবেন। কোচ, বুমোস, ফিনল্যান্ডের ইউরো কাপে খেলা জনি কাউকো ইতিমধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। কৃষ্ণ জানিয়েছেন তিনি দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিচিত হয়ে মাঠে নেমে পড়তে চান। আপাতত ফোকাস এফসি কাপে। দেশের বাইরেও সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে সাফল্য পেতে মরিয়া কর্তারা। মালদ্বীপে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চান না হাবাস। বোঝাপড়া গড়ে তুলতে হবে দ্রুত। শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশের নানা ক্লাবের প্রস্তাবও ছিল এটিকে মোহনবাগান গোল মেশিনের কাছে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও সৌদি আরব, কাতারের কিছু ক্লাবের প্রস্তাব ছিল। তবে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দলের প্রস্তাবই সবচেয়ে লোভনীয় ছিল তাঁর কাছে।
তাছাড়া মোহনবাগানে তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি এবং সমর্থকদের প্রত্যাশা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি। তাই ভারতে খেলতে পেরে খুশি সবুজ-মেরুন জনতার হার্টথ্রব। প্রথমে এএফসি কাপ এবং তারপর আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া আসল লক্ষ্য কৃষ্ণর।