চেন্নাইয়ান এফ সি: ১ ( কার্লোস সালোম- ১৭’)
#কলকাতা: খেলা শুরুর দু'মিনিটের মাথায় এদিন গোল পেয়ে যায় এটিকে। কলকাতাকে এগিয়ে দেন দলের তারকা স্ট্রাইকার কালু উচে। এরপর ঠিক এগারো মিনিট পর আবার নড়ে উঠল চেন্নাইয়ের জাল। লাঞ্জার ফ্রি-কিক থেকে জন জনসন মাথা ছোঁয়ালেন। ২-০-তে এগিয়ে যায় এটিকে। এরপরেও এটিকে কোচ কপেলকে দেখা যায় নোটবুক হাতে চিন্তামুখে দাঁড়িয়ে। কিন্তু কেন ? নিঃসন্দেহে তিনি রক্ষণ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ খেলার শুরুতে এগিয়ে থাকা দলের কাছে চ্যালেঞ্জটা থাকে অন্যরকম। কারণ বিপক্ষ দল ফিরে আসার জন্যে অনেকটা সময় পেয়ে যান। সেক্ষেত্রে সব থেকে বড় ভুমিকা হয় মাঝমাঠের।
advertisement
চেন্নাই দলে রাফায়েল যে কাজটা করেন সেটা এটিকে দলে করার লোকের অভাব লক্ষ্য করা যায়। সে কারণেই চেন্নাই নিজেদের পায়ে বল রেখে দেখেশুনে বেশ কয়েকবার এটিকের ঘর কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল।
সেই কাঁপুনির ফলস্বরূপ ১৭ মিনিটেই পাল্টা ধাক্কা মেরে বসল এটিকের ঘরে। বারংবার ডানপ্রান্ত দিয়ে উঠে আসছিলেন ফ্রান্সিসকো ফার্নান্দেজ। তাঁর করা সেন্টার থেকেই গোল করে গেলেন সালোম। ২-১ -এ প্রথমার্ধ শেষ হল অনেক প্রশ্ন রেখে। কতটা শুধরোতে পারবে এটিকে ! কারণ জন গ্রেগরির হাতে কিন্তু জেজের মত অস্ত্র মাঠের বাইরের অপেক্ষা করছিল। কিন্তু কোথাও কি ড্র করার দিকে মনোসংযোগ করছিলেন গ্রেগরি? সালোম কিংবা অরলান্ডিরা তখন আরও ধারালো হলে কিন্তু গোল পেতেই পারতো চেন্নাইন।
অথচ জেজের মত স্ট্রাইকার আসলেন কিনা ৮০ মিনিটে। কিংবা তাঁদের প্রান্ত ব্যবহার যেন থিথিয়ে গিয়েছিল অনেকটা। কপেল বরং ৫৭ মিনিটে রানে এবং হিতেশকে ৭০মিনিটে নামিয়ে প্রান্তকে সচল করলেন কিছুটা। ৮৩ মিনিটে জায়েশের পাসে কালু গোল করবার জায়গায় পৌছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি।
উল্টোদিকে নেলসনের হেড নিজের দক্ষতায় বাঁচান অরিন্দম ভট্টাচার্য। এমন দুলকি চালে অবশ্য নব্বই মিনিট পর্যন্ত ২-১ স্কোর অক্ষত রাখল এটিকে। পেল ঘরের মাঠে প্রথম জয়। এবং পাশাপাশি লিগ টেবলেও চার নম্বরে উঠে আসল কপেল ব্রিগেড।