আর্জেন্টিনার তিনটি গোলের মধ্যে দুটি গোলই এসেছে মেসির পাস থেকে। তাঁর সাজিয়ে দেওয়া পাস থেকেই চল্লিশ মিনিটে প্রথম গোলটি করে যান রদরিগো। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধেও বারবার গোলমুখে পৌঁছেও আটকে যাচ্ছিলেন মেসিরা। কিন্তু ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ফের ত্রাতার ভূমিকায় মেসি। তাঁর সাজিয়ে দেওয়া বলই গোলে ঠেলে আর্জেন্টিনাকে ২ গোলে এগিয়ে মার্তিনেজ। কিন্তু এমন ম্যাচে মেসির পা থেকে গোল আসবে না, তা কি হয়! সেই মুহূর্ত এল ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে, ৯৪ মিনিটে।
advertisement
পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়াকে বক্সের বাইরেই ফাউল করে ইকুয়েডর। আর প্রিয় জায়গা থেকে ফ্রিকিক নিতে এগিয়ে আসেন সেই LM 10। ফল যা হওয়ার তাই, ছবির মতো ফ্রিকিকে গোল করে যান মেসি। আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়ে পৌঁছে গেল কোপার সেমিফাইনালে। মূলত মেসিময় হয়েই রইল কোপার এই সেমিফাইনাল।
কোপার অপর কোয়ার্টার ফাইনালে রীতিমতো অঘটন ঘটিয়েছে কলম্বিয়া। সুয়ারেজের উরুগুয়েকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে দেয় তাঁরা। ফলে সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছেন মেসিরা। আর কোনও অঘটন না ঘটলে ফাইনালে দেখা যেতে পারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনাকে। আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে ফুটবল বিশ্ব।