ফুটবলাররা শুধু আর্থিকভাবে নয়, সবদিক থেকেই বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এই ম্যাচের আগে দুবাইতে প্রচুর টাকা খরচ করে এক সপ্তাহের ট্রেনিং করেছিল সবুজ মেরুন। উজবেকিস্তান পৌঁছে গিয়েছিল চারদিন আগে। কিন্তু তারপরেও কেন এমন ফলাফল? ম্যাচের আগে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা জানতেন জেতার ব্যাপারে মোহনবাগান ফেবারিট নয়। উজবেকিস্তান ফুটবল ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তাছাড়া অতীতে নাসাফ এফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন দল। কিন্তু একটা লড়াই উপহার দেবে হাবাসের দল, আশা করেছিলেন সকলে।
advertisement
কিন্তু এরকম তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে মোহনবাগান ডিফেন্স কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। ধারাভাষ্য দিতে দিতে দেবজিত ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন হাবাস বড় কোচ হলেও, এই ম্যাচে এই লজ্জার হারের জন্য তিনি দায় এড়াতে পারেন না। ম্যাচের শুরুতে ৩-৫-২ ফর্মেশন, তারপর গোল হজম করার পর ৪-৪-২ চলে যাওয়া প্রশ্ন তুলে দিল নিজের দলের প্রতি কোচের বিশ্বাস নিয়ে। শেখ সাহিল অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে কেন এই ম্যাচে ব্যবহার করা হল ?
একসময় হাবাসের সহযোগী হিসেবে কাজ করা মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেন অবাক দলের ফিটনেস দেখে। পাশাপাশি তিনি মেনে নিয়েছেন উজবেকিস্তান লিগ চলার কারণে ফিটনেসে অনেক এগিয়ে নাসাফ। সেখানে ভারতের ফুটবল মরশুম শুরু না হওয়ার কারণে পিছিয়ে সবুজ মেরুন। এই পর্যায়ের দলের বিরুদ্ধে ১০ দিনের অনুশীলন যথেষ্ট নয় মনে করেন সঞ্জয়।
আরও পড়ুন - Sehwag tips to Shubhman : শুভমানকে মানসিকতায় শক্তিশালী হওয়ার পরামর্শ সেহওয়াগের
শিশির ঘোষ মনে করেন কোচ হাবাসের ভুলের খেসারত দিতে হল দলকে। সন্দেশ ঝিঙ্গানের যোগ্য বিকল্প নেই! তাহলে কর্তারা করেন কী ? তিরিকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। প্রথমার্ধে পাঁচ গোল হজম সত্যিই লজ্জার। শতাব্দীপ্রাচীন মোহন বাগানের ইতিহাসে অবশ্যই কালো দিন। একটা দলের মাঝমাঠই হল হৃৎপিণ্ড। এদিকে আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল কোচ হাবাসের। মিডফিল্ডাররা খেলতে না পারায় রক্ষণের উপর চাপ ক্রমশ বেড়েছে। ডিফেন্ডারদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব সুস্পষ্ট।
ম্যাচে হার-জিত থাকেই। তবে এই অসহায় আত্মসমর্পণ কখনওই কাম্য নয়। ইউরো কাপে ফিনল্যান্ডের হয়ে খেলা জনি কাউকোর ম্যাচ ছিল মোহনবাগান জার্সিতে। দেখে বোঝা যাচ্ছিল ফিটনেস সঠিক জায়গায় নেই। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি এখনও। তাছাড়া আইএসএলে সফল হওয়া, আর এশিয়ার দ্বিতীয় শ্রেণীর টুর্ণামেন্টে দাপট দেখানো সমান নয়।