এদিন ম্যাচের প্রথম থেকে দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। শেষ ষোলোর আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচ থেকে জয় দরকার দুই দলের। গোলমুখ খোলার জন্য মরিয়া হয়ো ওঠে সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। ম্যাচের ২৯ মিনিটে জিন চার্লস ক্যাস্টেলেটোর গোলে এগিয়ে যায় ক্যামেরুন।
গোল হজম করার পর শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সার্বিয়া। প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১ গোলের লিড ধরে রেখেছিল ক্যামেরুন। কিন্তু ইনজুরি টাইমে ৪৬ মিনিটে গোল করে সার্বিয়াকে সমতায় ফেরান পাভলোভিচ। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে স্যাভিচের গোলে লিড নেয় সার্বিয়া। ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় সার্বিয়া।
advertisement
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ভালো করেছিল ড্রাগন স্টোকোভিচের ছেলেরা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মিত্রোভিচের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ৩-১ করে সার্বিয়া। এরপর যে ক্যামেরুন ম্যাচে ফিরতে পারে তা কল্পনাও করেনি তাবড় তাবড় ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। জয় অবধারিত ভাবে কিছুটা হাল্কা নেয় সার্বিয়াও। আর তাতেই হয় কাল।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ব্যবধান কমায় ক্যামেরুন। গোল করেন ভিনসেন্ট আবুবেকার। তৃতীয় গোলের জন্য বেশি সময় প্রতীক্ষা করতে হয়নি রিগোবার্ট সংয়ের দলকে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে গোল করে ক্যামেরুনকে সমতায় ফেরান এরিক ম্যাক্সিম চোউপো মোটিং। এরপর দুই দল একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কেউ আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দুই দল ১ পয়েন্ট পাওয়ায় এখনও পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে থাকল ক্যামেরুন ও সার্বিয়ার।