২০২১ সালের আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে তিনজন ক্রিকেটার থাকাটা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের এই সংস্করণে ভাল খেলার স্বীকৃতি বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। যে বর্ষসেরা ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে আইসিসি, সে একাদশে মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন সাকিবও। এর আগে আইসিসির ঘোষণা করা বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন শুধু মোস্তাফিজ।
advertisement
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য ২০২১ সালটা ভালোর চেয়ে মন্দেই বেশি কেটেছে। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যেমন সিরিজ জয় আছে, তেমনই আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে জয়শূন্য থাকাও। বাংলাদেশের জন্য ২০২১ সালে টেস্টের রেকর্ডটাও হতাশারই—৭ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১টি ড্রয়ের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি জয়ই যা প্রাপ্তি।
তবে ওয়ানডেতে গত বছর ১২টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতেই। বিশ্বকাপ সুপার লিগেও পয়েন্ট তালিকার ২ নম্বর অবস্থান এখন বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। গত বছর ৯ ম্যাচে ২৭৭ রান করার পাশাপাশি ১৭টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ওয়ানডেতে বর্ষসেরা চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
মুশফিক ৯ ম্যাচে ৫৮.১৪ গড়ে করেছেন ৪০৭ রান, ডিসমিসাল আছে ১০টি। আর মোস্তাফিজ ২০২১ সালে ১০ ম্যাচে ২১.৫৫ গড়ে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। বর্ষসেরা দলে তিনজন বাংলাদেশির থাকাটা একটা বড় স্বীকৃতি বলেই মনে করেন সাকিব। মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সাকিব বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুবই ভাল লক্ষণ এটা। কয়েক বছর ধরেই আমার কাছে মনে হয়, ওয়ানডেতে আমরা বেশ ভাল দল, দেশে এবং দেশের বাইরেও। এর ফলে বাংলাদেশ যে ওয়ানডেতে ভাল ক্রিকেট খেলছে, এটা তারই একটা স্বীকৃতি।
আইসিসি থেকে এমন স্বীকৃতি পেলে তো ভালোই লাগে। প্রত্যাশা তো সব দলেরই আছে, যারা এই টুর্নামেন্টে আছে সব দলেরই আসলে প্রত্যাশা আছে। আর সবাই যেহেতু পেশাদার খেলোয়াড়, তাদের নিজেদেরও নিজেদের ওপর প্রত্যাশা আছে। এখানে ভাল করার তাগিদ সবারই থাকে। এটা আসলে আমাদের জন্য একটা প্রেরণার ব্যাপার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই মুহূর্তে প্রাথমিক টার্গেট দুটো। আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল প্রদর্শনের পাশাপাশি, নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়া। তারপর একদিনের বিশ্বকাপে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করা।