টি২০ বা ওয়ান ডে-তে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। চার-ছক্কার বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ বা টেস্টে ধরে খেলেন ব্যাটসম্যান। ধীরে ধীরে ইনিংস সাজান। সেখানে কেউ যদি ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তাহলে চমকে উঠতে হয় বই কি।
আরও পড়ুন– উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে বিরল ঘটনা, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একমত অখিলেশ যাদব, কোন বিষয়ে?
advertisement
ঠিক এক বছর আগে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের তন্ময় আগরওয়াল। মাত্র ১৪৭ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২৬ ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ইনিংস। ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৪টি বাউন্ডারিও। এই ইনিংস এখনও বিশ্বরেকর্ড।
হায়দরাবাদের তন্ময় অবশ্য ইন্ডিয়া টিমে জায়গা পাননি। তবে নির্বাচকদের নজরে পড়েছেন। দু’দিন আগেও রঞ্জি ট্রফিতে হিমাচলের বিরুদ্ধে ১৭৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এক বছর আগে যে ফর্মে ছিলেন তা এখনও অটুট। যাই হোক, ফিরে আসা যাক তাঁর দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরির ইনিংসে।
২০২৪ সালে রঞ্জি টুর্নামেন্টে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ১৪৭ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তন্ময়। ভেঙে দেন একাধিক রেকর্ডও। তাঁর নামের পাশে বসে যায় ফাস্টেস্ট ফার্স্ট ক্লাস ট্রিপল হান্ড্রেডের তকমা। যা আগে মার্কো মারিসের নামে ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ২০১৭ সালে বর্ডারের হয়ে ১৯১ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
এই ইনিংসে ১৮১ বলে ৩৬৬ রান করেছিলেন ওপেনার তন্ময় আগরওয়াল। মেরেছিলেন ২৬টি ছক্কা। এটাই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি। অপর প্রান্ত থেকে তন্ময়কে সমর্থন জুগিয়ে যান আরেক ওপেনার এবং অধিনায়ক রাহুল সিং। ওই ইনিংসে রাহুল করেন ১০৫ বলে ১৮৫ রান। প্রথম ইনিংসে তাঁরা ৪৪৯ রানের জুটি গড়েছিলেন।
তন্ময় ও রাহুলের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে হায়দরাবাদ মাত্র ৫৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে তোলে ৬১৫ রান। যে কোনও ওয়ান ডে ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করলে এই রানকে পাহাড় প্রমাণ বলতে হয়। এই অসাধ্য সাধন করেছিলেন তাঁরা। হায়দরাবাদের ইনিংসের রান রেট ছিল ১০.৩৩। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিং শুধু একাধিক রেকর্ড ভাঙেনি, অরুণাচলের মনোবলও ভেঙে দেয়। দুই দিনে ১৮৭ রানে হেরে যায় অরুণাচল প্রদেশ।