আরও পড়ুন - Gautam Gambhir on Avesh Khan : আজ ইডেনের গতিশীল উইকেটে আবেশ খানকে দেখতে চান গৌতম গম্ভীর
এমনিতেই অনুশীলন চলার সময় বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা লাগানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বেশ কিছু মানুষ প্রতিবাদ করেছিলেন। সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে এই বিষয়ে। যদিও আইসিসি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, বাংলাদেশের আমাদের অনেক সমর্থক আছে। বাবর আজমের কথাটাকে প্রমাণ করার জন্যই যেন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হঠাৎ পাকিস্তানি সমর্থক প্রচুর বেড়ে গেল।
advertisement
পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে করতে মিরপুর গ্যালারি ফাটিয়ে তুলছেন বাংলাদেশি দর্শকরাই। যারা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে মিরপুরের গ্যালারিতে উল্লাস করছিলেন, তারা কেউ পাকিস্তান থেকে আসেননি। দুতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা বিহারী ক্যাম্পের আটকে পড়া পাকিস্তানিরাও নয়। এরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশের মাটিতে, দেশের আলো-বাতাস, জল খেয়ে বেড়ে ওঠা সন্তান তারা। কিন্তু তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল পাকিস্তানের পতাকা।
বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা ফাখর জামানরা একটি শট খেললে, একটি বাউন্ডারি কিংবা ছক্কা মারলে উল্লাসে ফেটে পড়ছে মিরপুরের গ্যালারি। অথচ, খেলাটা হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে, বাংলাদেশের বিপক্ষেই। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও মিরপুরের গ্যালারির একই অবস্থা। এমন পরিস্থিতি দেখে খোদ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও অবাক। তারা বলতে বাধ্য হচ্ছেন, বিদেশের মাটিতে নয়, নিজ দেশের মাটিতে খেলার অনুভূতি পাচ্ছেন তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান দলের সেরা পারফরমার ফাখর জামান (৫১ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ) নিজেও অবাক। এত সমর্থন মিরপুরে তারা পাবেন কল্পনাও করতে পারেননি। সরাসরিই বলে দিলেন, সমর্থন দেখে মনে হচ্ছে ভিন্ন কোনো দেশে নয়, পাকিস্তানের মাটিতেই খেলছি। আমাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। আমরা সত্যিই খুশি।