মেয়ের প্রাপ্তিতে এককথায় খুশি মা ভ্রমর মল্লিক। বললেন, 'আজ প্রায় ৯ মাস বাড়ির বাইরে তিতাস। বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে হচ্ছিল তিতাসদের। চলছিল কঠোর অনুশীলন। এখন শুধু এটাই ভাবছি ও কবে বাড়ি ফিরবে। কত তাড়াতাড়ি মেয়েকে আবার একটু কাছে পাব।' তবে শুধু তিতাস নয় গোটা ভারতীয় দলকেই অভিনন্দন জানালেন ভ্রমর। মেয়েদের ফিল্ডিং থেকে বোলিং-এর প্রশংসা করলেন পঞ্চমুখে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল, নতুন ইতিহাস লিখলেন শেফালি বর্মারা
পারিবারিক ব্যবসায় ব্যস্ততার মাঝেই মেয়ের খেলা নিয়ে আবেগে কোনও খামতি নেই তাঁর। বললেন, "যখনই মেয়ে খেলে আমরা খুব উদগ্রীব হয়ে থাকি দেখতে কেমন খেলছে। কতটা পারছে নিজের বেস্ট-টুকু দিতে। তবে শুধু তিতাস নয় প্রতিটি মেয়ের পারফরম্যান্সই ছিল দেখার মতো। ফলাফল কী হতে চলেছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছিল খেলার শুরু থেকেই।"
"গত ন'মাস ধরে এই বাচ্চাগুলোকে দেখেছি বার বার। যখনই দেখা করতে গিয়েছি ওরা আমায় মুগ্ধ করেছে। ওদের প্রত্যেকের এনার্জি লেভেল চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রত্যেকেই লক্ষ্যে স্থির ছিল। সুন্দর খেলেছে। আর সবাই মিলে দুর্দান্ত একটা 'টিম এফোর্ট' দেখিয়েছে, যা অসাধারণ।"
আরও পড়ুন: জিম-Yoga-ডায়েট ভুলে যান! জাস্ট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন! মেনে চলুন এই টিপস
মা হিসেবে আজ কী বার্তা দেবেন মেয়েকে? উত্তরে আজকের বিশ্বজয়ের অন্যতম কান্ডারী, 'চুঁচুড়া এক্সপ্রেস' তিতাসের মা বলেন, "আমি সবসময়ই ওকে যেটা বলি আজও তাই বলব। এটা একটা রাস্তা... একটা জার্নি। গন্তব্য নয়। যেটা করতে চাইছ, সেখানে সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে এগিয়ে যাও। সবে একটা যাত্রা শুরু হয়েছে। আরও ভাল খেলতে হবে। আমাদের দেশে লিঙ্গ বৈষম্য এখনও অনেক বেশি। তাই এমনভাবে ও যেন নিজের এই জার্নিতে এগোয়, যাতে একই ক্ষেত্রে একজন সফল পুরুষের থেকে কোনও জায়গায় পিছিয়ে না থাকে। ওর প্রত্যেক খেলা নিয়েই আমরা এতটাই আবেগপ্রবণ থাকি। তবে বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে এবার তার মাত্রাটা কিছুটা অবশ্যই বেশি ছিল। মেয়েকে লক্ষ্যে স্থির থেকে এগিয়ে যেতে দেখতে চাই আগামী দিনেও।"