শ্রীরামপুরে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস। তিনি বলেন, ১৫ অগাস্ট সকালে বুলা চৌধুরীর দেবাইপুকুরের বাড়ি থেকে চুরির খবর জানা যায়। সব মেডেল চুরি হয়। আমরা কেস রুজু করি। সবাই উদ্বেগে ছিলাম। একটা বিশেষ দল গঠন করা হয় পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগীর নির্দেশে। সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফরেন্সিক এক্সপার্টদের সাহায্য নেওয়া হয়। ২৯৫ টি মেডেল উদ্ধার হয়। কল, কাঁসা-পিতলের জিনিস উদ্ধার হয়।
advertisement
অভিযুক্ত কৃষ্ণ চৌধুরীকে ধরা হয়েছে। বুলা চৌধুরী উদ্বেগে ছিলেন এই চুরির ঘটনার পর থেকে। জানা গিয়েছে, রিষড়ার চার নম্বর রেল গেট এলাকার বাসিন্দা ধৃত ওই যুবক। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ১২-১৪ তারিখ চুরি হয়েছে। প্রথমে ১২ তারিখে রেইকি করে অল্প কিছু চুরি করে চোর। আবার ১৪ তারিখে চুরি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় এবার থেকে টহল বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন- কালী পুজোর পরই ভারতে রোনাল্ডো! এমন ‘সুযোগ’ জীবনে একবারই, জেনে নিন সেই তারিখ
সোর্স কাজে লাগিয়ে পুলিশ কৃষ্ণার খোঁজ পায় বলে জানা গেছে। তার পর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পদক ফিরে পেয়ে বুলা চৌধুরী বলেছেন, ”পদ্মশ্রী সম্মান যখন দেওয়া হয়, তখন দুটি ব্যাজ দেওয়া হয়েছিল। সেটা রাষ্ট্রপতি পরিয়ে দিয়েছিলেন। বড় পদক কসবার বাড়িতে আছে। ছোট পদক যেটা পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে য়েতাম সেই ব্যাজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি পেয়ে যাব।”
প্রাক্তন সাঁতারু আরও বলেন, শুধু পদক নয়, ওগুলো আমার আবেগ। ৬ বছর বয়স থেকে সাঁতার কাটছি। দেশ বিদেশের অনেক পদক সম্মান পেয়েছি। যেদিন চুরি হল মন ভেঙে গিয়েছিল। আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলব ভেবেছিলাম।তার আগেই চন্দননগর পুলিশ কমিশনার এবং চন্দননগর পুলিশের টিম আমার পদক উদ্ধার করেছে। তাঁরা যে এত তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করবেন তা ভাবতেই পারিনি। এর আগেও দুবার আমার বাড়িতে চুরি হয়েছে। আমার দেবাইপুকুরের বাড়িতে একটি মিউজিয়াম করার কথা ভাবছি। উল্লেখ্য, এই চুরিতে কৃষ্ণর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে বলে পুলিশের অনুমান। তাদের ধরতে পারলে আরও পদক উদ্ধার হবে বলেও মনে করছে পুলিশ।
-সোমনাথ ঘোষ