মঙ্গলবার যখন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যকে এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর প্লেটলেট ছিল ৬০ হাজারের মতো। সেই দিক থেকে ধীরে ধীরে প্লেটলেট বাড়ায় চিকিৎসকরা খানিক আশ্বস্ত।
পাশাপাশি জ্বর কমেছে সুব্রত ভট্টাচার্যের। বন্ধ হয়েছে বমিও। তবে আপাতত সেলাইন এবং ফ্লুইডের মাধ্যমেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে চান বলেই মুকুন্দপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্ম কর্তা জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সবাই আছে কোহলি নেই! বিরাটকে ছাড়াই ভিডিও আইসিসির, বিতর্কের বারুদে ফের আগুন
মঙ্গলবার বিকেলেই মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন ফুটবলার এবং ভারতীয় দলের অন্যতম সফল কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার প্রথমে ঢাকুরিয়ায় এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রাক্তন ফুটবলারের ঘনিষ্ঠদের তরফে জানা যায়, তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিল মাথার যন্ত্রণা এবং বমি। প্রথমে বাড়িতে চিকিৎসার কথা ভাবা হলেও পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন ফুটবলারকে। ধীর গতিতে হলেও চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিচ্ছেন বলে অনেকটাই আশ্বস্ত এই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতেই ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১৪ বছরের এক কিশোরীর। যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন- ভিলেন বৃষ্টি, কিউয়িদের বিপক্ষে ভারতের ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ভেস্তে গেল
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর ১৫ অক্টোবর নবান্নে একটি বৈঠক হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সতর্ক করেন, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাকে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি।
চিকিৎসকদের মতে, গত বছরের তুলনায় এই বছর তুলনামূলক ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার একাধিক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হল আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। পাশাপাশি মানুষের সচেতনার অভাব। এর মধ্যে ধরন বদলেছে ডেঙ্গির প্রকার ভেদ। বদল হয়েছে উপসর্গেরও।